একমাত্র মানবী
শুদ্ধ
পরমাত্মার দিব্বি
ওপারে
গিয়ে খাই আর না খাই -
এপারেই
বেঁটে,
ঘেঁটে, চেটে নেবো
আমার
পরম প্রিয় হাব্বী।
মানুষ
জন্ম দিতে পারি আর না পারি -
আঁতুড়
ঘরে শুয়ে,
বসে, কাত হয়ে
মা
হবার স্বাদ নেবো হেব্বি ।
(সন্তান
আমার) কথা বলতে পারুক আর না পারুক -
কঠোরভাবে
শেখাবো হাতে-কলমে, কাগজে
‘ধর্মঘটের
সামনে সদা থাকবি’।
এই
আমি!
চেয়ে
দেখুন! একমাত্র মানবী।
ঢেঁকি
সভ্যতা!
তুমি
আমার মা ,
দয়া
করে ছেড়ে দাও,
দলকরনের
হোতার গলা;
কেন্দ্র
বিমুখ মূর্খনেতা -
নিজ
গোয়ালে উল্টো নেচেই
গরু
বিজেতা!
নরকে
পৌঁছেই তবে আফসোস -
কেন
স্বর্গে গেলাম না?
বলি
ঢেঁকি!
ওখানে
গেলেও কি থামবি ধানভানা?
শৌচাগার
ও খাবার টেবিল
একই
কথা,
বাধা
নীতি,
মুখ যত নড়ে পুচ্ছ তত নড়ে না।
মেনি প্রশ্ন
ব্যথা
পাই,
শুধু
মুখ হা করে -
আহ্
বলার জো-নাই
স
...মা ...জ!
শব্দটা
বেশ মুচমুচে
যে
যার মতো ভেঙ্গে ভেঙ্গে খাই।
অন্ত্রের
কাছাকাছি রং
লাল
ও গেরুয়া দেখি,
সবুজ
কেন কোথাও নাই?
মেনি
প্রশ্ন
তেজ, যশ, শব্দ ছাড়া -
মনে
মনে আওড়াই।
ভালো আছি?
চুপ
করেই কি ভালো আছি?
নাকের
কাছেই উড়ছে নীল মাছি
যে
যার মতো গুনছে দিন,
দিক
যেটাই হোক -
মৃত্যুর
আগে শোধ করবে নরকের ঋণ।
থেমে
থাক জীবন ও জীবিকা
তুমি
আমি লাশ,
ভাববাদ বিজেতা;
জয়
তব ঈশ্বর! আল্লাহ! ওহে বিধাতা!
কর্পোরেট সংস্কৃতি
নিজ
হাতে ঢেলে ঢেলে -
গড়-মিশ
করে আবার সাজায়,
যে
যার মতো নির্দিধায় যাতে খায়;
মধ্যযুগে
যা যা ছিলো, ঠিক ঠিক তাই।
শুধু
ফন্দির রং ও বয়স -
আলাদা
আলাদা গাঢ়,
টার্গেট
করে ধরে ধরে -
একের
পর এক বাজার টপকায়।
হাতিয়ারটা
ফেলনা নয়!
বেমালুম
চোখ বন্ধ করে -
যে
ঘরে হুমড়ি খাওয়া যায়।
কেউ জাগো
হায়!
অলক্ষ্যগতিতে
নিঃশব্দ চরণ
কোথায়
চলিয়া যায়?
অলীক
বিভ্রমে আলোক ভেদিয়া
কালিমা
ছড়ায়ে রয়;
কেউ
বাঁধো -
বাঁধ
সাধো
ঠেকাও
বিপর্যায়!
দ্বার
খোলো -
জ্বালো
আলো
বাঁচুক
সম্প্রদায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন