রবিবার, ১ জুলাই, ২০১৮

ফেরদৌসী আকতার




একমাত্র মানবী

          
শুদ্ধ পরমাত্মার দিব্বি
ওপারে গিয়ে খাই আর না খাই -
এপারেই বেঁটে, ঘেঁটে, চেটে নেবো  
আমার পরম প্রিয় হাব্বী

মানুষ জন্ম দিতে পারি আর না পারি -
আঁতুড় ঘরে শুয়ে, বসে, কাত হয়ে
মা হবার স্বাদ নেবো হেব্বি ।

(সন্তান আমার) কথা বলতে পারুক আর না পারুক -
কঠোরভাবে শেখাবো হাতে-কলমে, কাগজে
‘ধর্মঘটের সামনে সদা থাকবি’

এই আমি!
চেয়ে দেখুন! একমাত্র মানবী



ঢেঁকি

    
সভ্যতা!
তুমি আমার মা ,
দয়া করে ছেড়ে দাও,
দলকরনের হোতার গলা;
কেন্দ্র বিমুখ মূর্খনেতা -
নিজ গোয়ালে উল্টো নেচেই
গরু বিজেতা!
নরকে পৌঁছেই তবে আফসোস -
কেন স্বর্গে গেলাম না?
বলি ঢেঁকি!
ওখানে গেলেও কি থামবি ধানভানা? 
শৌচাগার ও খাবার টেবিল
একই কথা,
বাধা নীতি, মুখ যত নড়ে পুচ্ছ তত নড়ে না


মেনি প্রশ্ন


ব্যথা পাই,
শুধু মুখ হা করে -
আহ্ বলার জো-নাই
স ...মা ...জ!
শব্দটা বেশ মুচমুচে
যে যার মতো ভেঙ্গে ভেঙ্গে খাই
অন্ত্রের কাছাকাছি রং
লাল ও গেরুয়া দেখি,
সবুজ কেন কোথাও নাই?
মেনি প্রশ্ন  
তেজ, যশ, শব্দ ছাড়া -

মনে মনে আওড়াই


ভালো আছি?


চুপ করেই কি ভালো আছি?
নাকের কাছেই উড়ছে নীল মাছি
যে যার মতো গুনছে দিন,
দিক যেটাই হোক -
মৃত্যুর আগে শোধ করবে নরকের ঋণ
থেমে থাক জীবন ও জীবিকা  
তুমি আমি লাশ, ভাববাদ বিজেতা;
জয় তব ঈশ্বর! আল্লাহ! ওহে বিধাতা!


কর্পোরেট সংস্কৃতি

নিজ হাতে ঢেলে ঢেলে -
গড়-মিশ করে আবার সাজায়,
যে যার মতো নির্দিধায় যাতে খায়;
মধ্যযুগে যা যা ছিলো, ঠিক ঠিক তাই
শুধু ফন্দির রং ও বয়স -
আলাদা আলাদা গাঢ়,
টার্গেট করে ধরে ধরে -
একের পর এক বাজার টপকায়
হাতিয়ারটা ফেলনা নয়!
বেমালুম চোখ বন্ধ করে -
যে ঘরে হুমড়ি খাওয়া যায়



কেউ জাগো


হায়!
অলক্ষ্যগতিতে নিঃশব্দ চরণ
কোথায় চলিয়া যায়?
অলীক বিভ্রমে আলোক ভেদিয়া
কালিমা ছড়ায়ে রয়;
কেউ বাঁধো -
বাঁধ সাধো
ঠেকাও বিপর্যায়!
দ্বার খোলো -
জ্বালো আলো
বাঁচুক সম্প্রদায়


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন