অরণ্য সমাচার
বর্ষার
ছাউনিতে একফোটা পিঁপড়ে এসে জড়ো হলে
চাঁদ সংক্রান্ত কথাবার্তায়
সিলভারি ঠোঁটের কথা
তোমরা এনো না,
বরং
উদযাপন করো ধোয়া পাতাদের সাথে
কেননা, মনখারাপি মেঘের নিম্নচাপে প্রচ্ছন্ন হয়ে পড়ে সবকিছু
ঘাসের
পিঠে কিভাবে দুছত্র সহজপাঠ লেখা হয়
ঘুম থেকে পাখনা খসে গেলে
খোলনলচে বদলানো সামগ্রীতে কখনও
বিস্তারিত থাকে না
বৃষ্টির
ছন্দে স্রোত মূর্ছা যায়
তবু
প্রিয় শ্রোতা বর্তমান থাকে বহমান নদীর মতো
আমিষ
দিনের সেইসব দৃশ্যে বৃন্তচ্যুত সুখ খুঁটে গল্প সাজাই
আর
অবসরগুলো বর্ষার বৃত্তে অবরুদ্ধ
আমাদের
কোমলতার সুযোগে হাইড্রেন আজ দরজা ছুঁয়ে যাচ্ছে
ভাঙা
টিন বৃষ্টির ডাকে দহন ধুয়ে
নির্মাণ করছে
ভারহীন এক কঙ্কালসার
অরণ্য
সেসব
অবাধ
অথচ
বিগত বর্ষায় বেড়ে ওঠা এই আদাড়বাদাড়ে
হারিয়ে
যাওয়া এখন নিয়মিত
আড়মোড়া ভাঙা
পোড়া
চামড়ায় কতটা মখমলে বাতাস প্রয়োজন
অসমতার পিঠে অভ্যেস বাঁধা পড়লে
টের পাই
আমার জন্ম বৃথা
বাড়ির
আবহাওয়ায় একক আকাশ আজ খন্ড খন্ড
আর
গেরস্তের হালহকিকতে সন্ধিবিচ্ছেদ হলে
কলসি থেকে পানছেঁচা
সংলাপ আমাকে
ধাওয়া করে
অথচ
প্রায়শই বৃষ্টির প্রতিচ্ছবি নিয়ে
সমঝদারের সাথে হাত মিলিয়ে হাঁটি
এখন
তদন্তের স্বার্থে জিগস সাজিয়েছি
আসলে
যেখানে গোল দিতে চাইছিলাম
ঘটনাগুলোর মুখ
অন্যদিকে ছিল, আর
চাঁদের ফেরি আটকে ছিল ট্রাফিকজ্যামে
জীবন
ক্রমশ হিঞ্চে শাকে লেপ্টে যাচ্ছে
আর
পেটের চেয়ে পিঠমোড়ার ভার অনেক বেশি
বিড়ালের
চোখের দিকে তাকিয়ে আড়মোড়া ভাঙে রোজ
আমার ব্যস্তযাপন
প্রতিনিয়তই
একটি সেফটিপিনের প্রয়োজনে
ড্রয়ারে আমি
আত্মসমর্পণ করছি নিসংকোচে
তিনকালের
দোরগোড়ায়
আস্ত মাছের সর্বদাই একই
ভবিতব্য দেখা যায়
তাই
অ-বলার থেকে
অবলার থেকে
অবলের থেকে
আমি ছুটছি প্রান্তলাইনের
দিকে
বৃক্ষচারীর আশায়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন