ঠ্যালা গাড়ি থেমে যায়
খরার দৈত্যরা প্রদীপে প্রবেশ করে দ্রুত,
ঘষতে ঘষতে পিতলে স্বর্ণযুগ চলে আসে
শুয়ে থাকে জলকাটা চোখ, ফুল্কির গদ্যপ্রিয়তা
দেড়কাঠা মুখ নিয়ে বেদনার পাশে
ঝালাই হতে হতে আকাশী রক্তে বেঁচে
ওঠে দিন
আতঙ্কের কাঠামো পোড়ে, সাত দীঘির তীর
শীত চলে যায়, জানালায় বাষ্পজোড়া রেখে
স্তব্ধতায় কথা ভাসে, যা শুনতে পায় বধির।
আমিও সে কথাই বলি,
যা দরকার নেই আর
চিনতে পেলেই পাতাবাহার, ঢিল মেরেছে হাটে
পড়তে থাকে, পড়তে থাকে, হলুদ শুকনো পাতা,
কালই প্রথম বুঝতে পারি,
গাছও রাস্তা কাটে।
মে আসার কিছু দিন
আগে
তখনই শুষ্ক কণ্ঠ ঝরিয়ে নিল রোদের
জল
শাস্তির ফল নেই পাপ আছে গাছ থেকে
ঝুলে
শাশ্বতকাল অন্ত হবে নির্বান্ধব
রাস্তায়
যখন আগুন কাঁদবে,
একদিনের
আগুন হওয়ার ভুলে।
শিখাহিন আলোকবর্ষ দূর থেকে দেখাবে
আমাদের সারাবছর কেমন কাটে ধারে
ধারে গতি
রক্ত শ্লোক মুখস্থ জানে শুনশান
বইতে
কীভাবে লিখে রাখা যায়নি সবকিছুই
সাময়িক চিৎকার ও
বিদ্রুপের প্রতি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন