ছায়াপথ
একটি বিষণ্ণ বেলুন, আগ্রাসী,
নিজেকে প্রদক্ষিণ করে বারবার-
বঞ্চনার কথা বলতে গিয়ে
তুমি আরও কিছু গুপ্ত বঞ্চনা
তৈরি করো নিজের খেয়ালে।
কাঁটা তুলতে গিয়ে
বেশুমার পুঁতে রাখো—
আরও কিছু দ্যুতিময় কাঁটা।
সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে ফুরিয়ে যাওয়া বিকেল
দাঁতের আড়ালে হাসি লুকিয়ে
ফিকে হয়ে ধরা দেয়, মিশে যায় উৎসের কাছে।
পরান্মুখ বিকেল ট্র্যাজেডির হাতকড়া পড়ে ফিরে যায়।
মূর্তমান অন্ধকারের জাল গিলে নিলে দৃশ্যপট
আকাশে উদ্বেগ মেশানো ডানারা অকথ্য পীড়া দেয়!
পীড়া দেয়-
চিৎকারহীন, প্রতিবাদশব্দহীন মানুষের
পৃথিবীতে নিস্তব্ধ আগমন—
জেনেছি, তার বাকশক্তি চুরি করে-
দূরে উজ্জ্বল হয়ে আছে ছায়াপথ!
ঘুমকথা
ঘুমোতে গেলে তুমি অ্যামাজন হয়ে উঠো
সহস্র কথার ছোবল বয়ে চলে ধমনীতে
মহানিস্তব্ধতায় পড়ে
পাখার ঘূর্ণনকে ভাবো ঝড়।
ঘুমোতে গেলেই ঘুম এক সুস্বাদু তরল, নিরুদ্দেশ।
ভাবো নিজে পথচ্যুত
খাদ্য ও খাদকের শৃঙ্খলে তুমি যেকোনটি।
ক্রমশ স্তব্ধতা কখনো হেলুসিনেশন
যেন কাউকে বাঁচানোর চেষ্টায় নিজেকে ভুলে যাচ্ছ,
শুকনো পাঁজরে লেপটে ধরছো কাউকে-
দারুণ ভয়ে।
আসলে সে তুমি!
যে রোজ ঘুম ভেঙে দেখে
চুরি গেছে আস্ত সকাল...
বহমানতা
নীরবতা ভাষা হয়ে গেছে
কবেই!
নিরপেক্ষতা ধর্ম।
কেননা
প্রত্যেকেই
চায়
শ্বাস
নিতে।
আরোহণের গল্প ভালো লাগে—
আগুন পোহাবার কাল,
ঘরের দাওয়া,
ভালো লাগে আগন্তুক হাস্যকলহ।
পাহাড় হতে গেলে অনেক পাহাড় ডিঙ্গোতে হয়।
স্রোত তবে সহজাত—
কেননা
প্রত্যেকেই
চায়
বয়ে
যেতে।
পরম্পর...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন