শুক্রবার, ১ জুন, ২০১৮

উমাপদ কর




টুকরো কবিতা



(৩৩)


বেঁচে আছে, এটুকুই যা সম্পদ, বাকি সব জীবন্মৃতের রোজনামচা
খেলার অনেকটা অংশ এখনও বাকি
আর খেলোয়াড় বলতে আমাদের ভাবিকালের কিছু যন্ত্রণা
দু-দিকেই পেছন ফিরে হাঁটি নুলো পায়ে
অনেক হাঁটার শেষে দেখা যায় আমার কোনও সরণ হয়নি


(৩৪)


ফাঁকা হয়ে আছে যে জাহাজের খোল সেখানে আমার বসে থাকা
বিন্দু বিন্দু ঘামের মধ্যে কোথাও একটা তলিয়ে যাওয়া সন্ধ্যা
আর দুপুরের পায়ের পাতায় ঠাণ্ডামারা হারিয়ে যাওয়া শেকড়
আমি যে ধরতে চাই আমূল, চাই ভেসে যাওয়ার আগে দাঁড়াতে
সেখানেও ভয়-খড়ি লম্বা লম্বা স্ট্রাইপ রেখে গেছে, রেখে গেছে কালো দাগ।


(৩৫)


লুকিয়ে পড়তে গিয়ে আরও প্রকাশ পেয়ে গেলাম
ভেজা রাত গাঢ় হয়ে ফের সকাল-শুকনো
আর আমার ময়াল শরীর বুকে হেঁটে বন থেকে অন্য বনে
পেছনে পাখির ঝাঁক আর তাদের ডিমের জন্য বন-জাগানো আর্তনাদ
গিরগিটির একটু ছোঁওয়ায় আমার ময়ালেপনা...


(৩৬)


কলমের খুনসুটিগুলোকে মুদ্রা করে দাও, ফুল ফুল ভাব
নরম, একটু ঝুলে থাকা পিয়াসি পারা ঠোঁট, এসো আরেকটা বসন্তের জন্য অপেক্ষা করি
আর কাঠপুতলির মায়ায় বার বার ভিজিয়ে দিই নূপুরের আওয়াজ
আলোকে বলি, এই তো তোমার যাওয়া আসার চিহ্ন-রুমাল
নাড়িয়ে যাও, নাড়িয়ে যাও... ঘুমিয়ে পড়ুক নূপুর আবার


২টি মন্তব্য: