আভোগ
থেকে স্থায়ী
নির্বাসন
জানার আগেই ছুটি হয়ে যায় আগামীর--
গনগনে
আগুনের পার থেকে গর্জানি দুরন্ত লাভা,
বদলে
যায় ধরন ধারণ, বদলায় আকাশেরও বৈচিত্র্য--
এমন
অসুস্থ দিনরাত তুমি পার করে যাও অনায়াসে
আমিও
কি বলতে পারি খুব ভালো আছি, সেসময়!
শতাধিক
জানলায় ধুলো, রাত্রির গভীরে অজানা কৌতূহল বয়ে,
নিস্তব্ধ
হওয়ার সুযোগ খোঁজে জ্যামিতিক পিরামিড--
মেসোপটেমিয়ার
দরজা খোলে সময়ের ইতিবৃত্তে
হাড়িচাঁচার
দল মাছরাঙ্গাদের ভিড় জড় হয় আলোর গাছে,
জন্মের
বোধ জাগে,
খিদের বোধ জাগে, জাগতে থাকে
পিপাসার
রক্তশূন্যতায় অদম্য আক্রোশ শিরায় শিরায়--
আমি
কেমন করে বলি, দূর থেকে রোজ চিনি তোমায়!
কতটা
ঘরের কাছের পড়শি চেনা যায়! চৌকাঠের বেড়াল চোখ--
অহেতুক
সময় কাটায় পাতলা ওড়নায়, স্রোত বওয়া নদী,
জলের
দাগে ইশারা জানে কতটা দূর জনসমাগম, আলোচনা কক্ষ--
পাঠাগারের
বুকে শব্দের মতো সম্ভারে, মূক জানার মতো অজানা!
কতকত
অস্থির পরিস্থিতি, ভেঙে চুরে ন্যুব্জ চেহারায়!
গড়তে
গড়তে পৃথিবীর একাংশ ঝাঁঝরা হয়ে বাঁচে বুলেটের ক্ষতে--
এমন
সময় আমিও তোমার মতো বলি, বেশ আছি—
কান্নার
রঙ
কাচের
সবুজ চুড়ি রিনরিনে পাতায় যখন--
আমার
জানলার পাশে একফালি দুপুর কেনে!
ভীষণ
লিখতে ইচ্ছা করে পাখিদের গল্প--
ওদের
ডানার বাতাসে আকাশের গন্ধ,
বাসা
বাঁধে অলিক কাঠির পলকা ডালে--
মা, হয়-মাটির কুড়ানো ফসল তুলে চঞ্চুতে চঞ্চুতে--
গুটিয়ে
নেওয়া তাবুর তলার রহস্য, ওদের চোখেও কি পড়ে!
শুধু
আমি দেখি ওদের রঙ, ওদের সুর করে ডাক--
দুপুর
চলে গেলে,
আরো একটা দুপুর--
পাল্টায়
ওদের দল,
ওদের সুর - তবুও কত অজানা!
গুলিয়ে
ফেলি জন্মের বিভেদ, সুখী দেখি; যখন--
ওরা
অনেকটা ওপরে সোনালী রোদে নীলের ছবি আঁকে--
ইচ্ছে
করে ঐ সুখী ছবিটার রঙতুলি হয়ে নিজেকে আঁকি,
দুঃখকে
আঁকতে পারি না, কোনো ঝড়ের রাতে!
আমার
জানলাটা বন্ধ থাকে, ঝাপটানো ধুলো হাওয়ায়--
তবু
ভিজে যায় চারপাশ, আগলে রাখতে পারি না অবাধ্য জলের ছাট,
ওরা'ও পালকের তলায় বৃষ্টি লুকায় মানুষের অরণ্যে!
নিজস্ব
পাতা
একটা
দুটো ভুল গড়িয়ে যায় তেলের শিশির মতো,
ঘুটঘুটে
অন্ধকারে,
কুড়িয়ে পাওয়া ঝিঁঝিঁর ডাক আচমকা,
টেনে
নেয় নিঃশব্দ রাতের উত্তরীয়, অজান্তেই--
অতল
থেকে কেউ,
শব্দের তালায় চূড়ান্ত ঘোষণা
সিঁড়ির
তলায় চুপটি ঘুমে, ধ্রুপদী তিন তাল; কবিতা আসে না--
অনেক
বেলায় বিভক্ত হয় মধ্যবিত্ত কাঁটাছেঁড়া,
আনাজের
পাত্র থেকে কৃষকের রোদ্দুর ছিটকায়--
দরদাম
তখন শেষ বাজারের, চৈত্র সেলের মতো,
জানি, এভাবেই ঝাড়াই-বাছাই পর্ব, মনোনয়নের খাতায়--
দূর
থেকে যতটা নাগাল পাওয়া যায়, মই রাখা ততটায়!
তবুও
অসাবধান বশতঃ একটা, দুটো ভুল হয়ে যায়--
জলের
ভিতরে জীবন লুকিয়ে শ্যাওলারঙা দিন,
শৈশবের
সাঁতার কাটা স্বরবর্ণের দুলুনি, ঝিমুনি দুপুর
অভিভাবকরাও
তুলতুলে মোলায়েম বকুনি জুড়ে,
ঘড়ির
অন্যপিঠে আর এক পৃথিবীর আনাগোনা, অচেনা!
কর্কশ
লাঙলের ধারালো ঘামের মাটি, কর্ষণের চিৎকারে,
কবিতা
আসে না,
হারিয়ে ফেলা স্বভাবে অভাবী শব্দমেলায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন