সোমবার, ৭ মে, ২০১৮

ঝুমা চট্টোপাধ্যায়




ধারাবাহিক উপন্যাস


প্রিয়দর্শিনী 





(প্রথম অধ্যায়)  


(১)

-  পুরনো ডায়রীর ছেঁড়া পাতা, সন ১৫৩৮

বৈশাখ মাসের এক নির্জন মধ্যাহ্ণমাধ্বী ঠাকুর ঘরের মেঝেয় আঁচল বিছিয়ে একাকী শুয়ে। সারা বাড়ি স্তব্ধ, খাঁ খাঁ করছেকোথাও কোনও জনমানুষের সাড়া শব্দ নেইমাধ্বী প্রায় চিৎ হয়ে শুয়ে আছে তার পরিধানে একটি স্বচ্ছ মলমল। মেঘের আড়ালে যুদ্ধরত ইন্দ্রজিতের মত সেই মলমলের ওপাশ থেকে বারেবারে উঁকি দিয়ে যাচ্ছে তার মসৃ তলপেট ও অহংকারী নাভিকুন্ডলী। অব্যর্থ তাদের লক্ষ্যভেদ মাথার কাছেই খোলা জানালাতা দিয়ে দ্বিপ্রহরের তপ্ত বাতাস হু হু  করে ঘরে এসে ঢুকছেমাধ্বী অবশ্য এ নিয়ে মোটেও চিন্তিত নয়। একটু আগেও সে প্রচুর কেঁদেছেতার দুই চোখ এখনও জবা ফুলের মত টকটকে লাল। অসহ্য এক মানসিক যন্ত্রণায় সে দাউদাউ করে জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছেখুব ইচ্ছে করছে তার নিজের শরীরটাকেই কুটিকুটি করে ছিঁড়ে ফেলতে। ঠিক এমন সময় খোলা জানালা দিয়ে বাইরে থেকে কে যেন ডাকল, মাধ্বী! মাধ্বী!
কন্ঠস্বর খুব বেশি জোরালো নয়, বরং একটু চাপা ও সতর্ক গোছের
কে ডাকে? নিঃশব্দে এলোচুলের ফাঁক দিয়েই জানালার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল মাধ্বী। কে তাকে ডাকছে সে জানে। খোলা জানালার ওপাশে বিবাক দাঁড়িয়েললাটে আর চিবুকে সেই অতি পরিচিত আত্মবিশ্বাসের ধারালো রেখা পাতলা তরোয়ালের মতই ঋজু শরীরখানি ঝকঝক করছে
বিবাককে দেখতে পাওয়া মাত্রই মাধ্বী মুহূর্তে ঠিক করে ফেলল, কিছুতেই সে বিবাককে নিজের জলে ধোয়া লাল চোখ দেখাবে না অত্যন্ত ক্রুদ্ধস্বরে বলল, তুই? আবার এসেছিস এখানে?
বিবাক রাগ করল না। সুমিষ্ট স্বরে বলল, আমি হার মানছি মাধ্বী! তোকে ছেড়ে কিছুতেই দূরে থাকতে পারছি নাতাড়িয়ে দিস না
তুই চলে যা বিবাক! নইলে আমি চ্যাঁচাব!
পাহারাওলা ডেকে আমায় ধরিয়ে দিতে চাইছিস তো? বেশ! তাই কর না হয়! তুই যা করবি মেনে নেব
ঝটিতি মেঝে থেকে উঠে দাঁড়াল মাধ্বীনিঃশ্বাস চেপে মুখখানা শক্ত করে কোনোক্রমে উচ্চারণ করল, এ জন্মের মত তোর সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। আমার আর তোকে চাই না। তুই দূর হ’ সমুখ থেকে!
না! কিছু ছাড়াছাড়ি হয়নি। এ জন্মেই আমি তোকে চাইস্ত্রীলোক হয়ে তুই বুঝিস না তোকে ছেড়ে আমি কত কষ্টে থাকি! – বলতে বলতে বিবাক জানালা ছেড়ে উচ্চ অলিন্দের দিকে পা বাড়ালএই সমস্ত বাঙ্গালা বাটিতে উচ্চ অলিন্দ এমন একটি উন্মুক্ত স্থান যেখান থেকে সরাসরি গৃহের অভ্যন্তরে অনায়াসেই প্রবেশ করা যায়মাধ্বীদের এই বাঙ্গালা বাটিতেও ছাদের ঠিক মধ্যিখানে প্রশস্ত উচ্চ অলিন্দ বিদ্যমানসুতরাং সেখান দিয়ে বিবাকের পক্ষে মাধ্বীর কাছে এই চিলেঘরে পৌঁছনো কোনও বৃহৎ ব্যাপারই না চিলেঘরে ঢুকেই বিবাক অচিরেই ধরে ফেলল মাধ্বীকেতারপর সবলে তাকে নিজের শরীরের সঙ্গে চেপে ধরে উন্মাদের মত তার সারা মুখে চুম্বন বর্ষ করতে লাগল
ভয়ে নীল হয়ে গেল মাধ্বী। - ওরে ছেড়ে দে! ছেড়ে দে আমাকে...
না ছাড়ব না! কেন তুই এমন কচ্চিস মাধ্বী? সত্যিই তুই আমায় আর চাস না?
চুপ করে থাকে মাধ্বী, কোনও উত্তর যোগাচ্ছে নাঅশান্ত হয়ে বিবাক দুহাত দিয়ে সবলে ঝাঁকাতে লাগল মাধ্বীকে- তোকে আমি ছাড়ব না! তোর এই সুন্দর দেহ, এমন উষ্ণতা – আমার শরীরে আগুন জ্বলে সব সময়! তোকে না পেলে আমি ব্যর্থ! – বলতে বলতে আবার উন্মত্তবৎ হয়ে উঠল বিবাক জিদ ধরল মাধ্বীর এ প্রতিরোধ আজ সে ভাঙবেই। বলল, এই যে তুই এমন কড়িকা কাপড় পরে রয়েছিস, এ কাপড় তো আমারই হাতে বোনা! তবে যে আমার সঙ্গে এমন দুর্ব্যবহার কচ্চিস?
এবার মাধ্বী কাঁদতে লাগলনিজের প্রবল অন্তর্জ্বালা বিবাককে সে খুলে বলতেই পারছে নাদুই মুঠিতে বিবাকের কৃষ্ণকেলি বসনের প্রান্ত ধরে ষ্ম্লেষজড়িত কন্ঠে  আস্তে আস্তে  বলল, আমার আর এসব ভাল লাগে না বিবাক! আর আমি এসবে আনন্দ পাই না
আনন্দ পাই না বললেই হবে? তুইই না কতদিন আমাকে এখানে লুকিয়ে ডেকে এনে কথা কয়েছিস? কত নির্জন দুপুরে আমরা নিজেদের আনন্দে মত্ত থেকেছিআর এখন কইচিস এসব তোর ভাল লাগে না!
ছি ছি বিবাক! এত স্বার্থপর তুই? নিজের জ্বালাটাই তোর কাছে বড় হল? আমি যে এদিকে...
মাধ্বীর কথা শেষ হওয়ার আগেই তার সুমেরু সদৃশ দুই স্তনের ভাঁজে বিবাক মুখ গুঁজে কোনোক্রমে বলল, ওসব কিছু জানি না! আমার কাছে আয়তোকে না পেলে আমি পাগল হয়ে যাব!... কেন তবে এতদিন আমায় ভুলিয়েছিলি?

ঠাকুরঘরে পুজোর বেদীর ওপরে এক জায়গায় বিভিন্ন টুকটাক জিনিষপত্রের সঙ্গে একটি কাশ্মীরদেশীয় ক্ষুরও রাখা ছিলঝটিতি মাধ্বী সেটা হাতে তুলে নিয়ে বিবাককে বলল, এমন করলে আজই আমি তোর সামনেই আত্মঘাতিনী হব, এক্ষুনি!

গঙ্গার বুকে অসংখ্য জাহাজ রণতরী ভাসছে। নগরটি উত্তরদিকে তেমন বাড়েনিফুলবাড়ী দরজা থেকে কোতোয়ালী দরজা পর্যন্ত উত্তর দক্ষিণে মাত্র ৮ মাইল লম্বা। পশ্চিমদিকটা অবশ্য উন্মুক্ত। গঙ্গা বইছে সেখানে সমুদায় বাঁধের উপরিভাগ দালান–কোঠায় ভরা অট্টালিকাসবই প্রায় ভারী কাঠের তৈরী কোনও কোনও অট্টালিকার চারপাশে সুউচ্চ মাটীর পাঁচিল ঘেরা। তাঁতীপাড়া মসজিদ এই এলাকার অন্তর্গতজলপ্লাবনের ভয়ে এইসব মসজিদ মন্দির সবসময় উঁচু কোঠায় তৈরী করা হয় মসজিদের বাইরে ও ভেতরের দেওয়াল রঙীন চিত্রবিচিত্রে ভরাএকটা ইঁটের রাস্তা মসজিদে এসে প্রবেশ করেছে সোজা। বিবাক যাচ্ছিল এই পথ ধরেই তার চলার গতি খুবই স্লথকারুর সঙ্গে একটু কথা বলে যে মস্তিষ্ক জুড়োবে সে উপায় নেইকারণ বন্ধুবান্ধব কা্রুর কাছেই এখন যেতে ইচ্ছে করছে না। নগরে স্ত্রীলোকেরও অভাব নেইইচ্ছে হলে বিবাক সেখানেও যেতে পারেকিন্তু মাধ্বী ছাড়া আর অন্য কোনও রমণী তাকে আকৃষ্ট করতে পারে নামাধ্বী যে তার জীবনে শুধু নারীর প্রয়োজন মেটায় তা নয়, মাধ্বী তার চেয়েও আরও অনেক বেশী মসজিদে প্রবেশ করেই সোজা পূর্বদিক ধরে এগিয়ে চলল বিবাক। এইদিকে ওমর কাজীর সমাধিকবরইনিই এই তাঁতীপাড়া মসজিদের নির্মাণকর্তা কবরের ওপর কিছু টাটকা ফুল ছড়িয়ে দিল  বিবাক জীবদ্দশায় ওমর কাজী বিবাককে বেশ প্রীতির চোখে দেখতেনকিন্তু ওনার বর্ত্তমান সাঙ্গপাঙ্গরা সবাইকে নিয়ে কেবল ঠাট্টা বিদ্রুপ করে। তারা মনে করে এ দেশটা শুধু তাদেরইনিজেদের জাতের লোক ছাড়া আর কাউকেই তারা মানুষ বলে গণ্য করে নবিবাকের অবশ্য মান অপমানবোধ খুব কমমসজিদ প্রাঙ্গনে মোল্লা মহম্মদের একেবারে মুখোমুখি পড়ে গেল বিবাকমোল্লা সাহেবের চোখেমুখে ক্রোধ এবং শোক একসঙ্গে মাখানোঅলসভাবে মহম্মদ সাহেবের মুখের দিকে চাইল বিবাকঅত্যন্ত ব্যঙ্গের সঙ্গে একটি ‘রেখতী ’ আউড়ালেন তিনি–

                    চলী ওঅঁহা সে দামন উঠাতী হুয়ী
                    কড়ে সে কড়ে কো বজাতী হুয়ী...।

এবার এখান থেকে আঁচল উড়িয়ে উড়িয়ে, কাঁকন বাজিয়ে বাজিয়ে ফিরে চলো
শূন্য দৃষ্টিতে মোল্লা সাহেবের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল বিবাকতা দেখে মোল্লা মহম্মদ চড়া মেজাজে বললেন, আজ হিন্দুস্থানে আমাদের চরম দুর্দিন আর তুই এই রকম উদাসীন সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছিস?
কী বলবে বিবাক ঠিক ভেবে পেল নাকবরস্থানের ঠিক পেছনেই একটা লম্বা খিরিশ গাছওমর মীর্জা নিজের হাতে এ গাছটা বসিয়ে দিয়ে গেছিলেন যতদিন বেঁচে ছিলেন রোজ জল দিতেনসেদিকে চোখ চলে গেল বিবাকেরবিবাকের এহেন নিষ্ক্রিয়তায় অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে উঠলেন মোল্লা মহম্মদবললেন, দিল্লীর সম্রাট হুমায়ুনের তখত্ নষ্ট হতে বসেছে আর তোরা এমনি নেমকহারামই বটেদিব্যি গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিস
উপায়ন্তর না দেখে বিবাক বলল, সম্রাট তো এখান থেকে কবেই দিল্লি ফিরে গেছেন! আবার নতুন কী ঝামেলা হল?
তোরা বিধর্মীরা সম্রাটের ভালমন্দের কোনও খবরই কেন রাখিস না বলতো? তোদের বেদে তো মুনি ঋষিরা লিখে রেখে গেছে যে যুদ্ধ করা একটি ধর্মসংগত ব্যাপার! তা তোরা এমনি প্যানপেনে মার্কা হলি কেন?
এ কথারও কোনও সদুত্তর বিবাকের মুখে জোগাল নাএখনও তার সর্বাঙ্গে মাধ্বীর শরীরের উষ্ণতাএকটা শঙ্খচিল অহেতুক বুকের খাঁচায় সমানে ডানা ঝাপটে চলেছে। প্রায় স্বগোতক্তির সুরে বলল, সম্রাট কি আবার কোথাও লড়াইয়ে চলেছেন? এইসব যুদ্ধ লড়াইএর ব্যাপার স্যাপার আমার মাথায় ঠিক ঢোকে না
এক ধমক দিয়ে মোল্লা মহম্মদ বলে উঠলেন, তোরা হিন্দুরা সব হলি গিয়ে এক একটা কাচকড়ার পুতুলকোথায় দিল্লির বাদশাহর ভাল মন্দের খবরাখবর রাখবি তা নয়, কিস্যু হবে না তোদের দ্বারা তোদের মেরে ফেলাও দারুন সহজমুখে একটুখানি জল ছিটিয়ে দিলেই তোদের জাত চলে যায়
এবার বিবাক মনে মনে বিরক্ত হলএসব কথা একটুও শুনতে ইচ্ছে করছে নাশেষ বিকেলে ওমর মীর্জার কবরে একটু শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিল ভেবেছিল এতে যদি তার উত্তপ্ত হৃদয় কিছুটা শান্ত হয়এদিকে মোল্লা মহম্মদের মস্তক বনবন করে ঘূর্ণিত হচ্ছে চোখমুখ দিয়ে ফেটে বের হচ্ছে অসহ্য রাযেন তাঁর  নিজেরই জমিদারি কেউ কেড়ে নিয়েছে এই রকম তাঁর হাবভাব। বললেন, শের শাহ পবিত্র কোরাণ স্পর্শ করে হুমায়ুন সম্রাটের সঙ্গে চুক্তি নির্ধারণ করেছিলেন। এখন সে চুক্তি উলটে গেছে। জেহাদীরা যুদ্ধ চাইছে। সন্রাস ছড়িয়ে সব শেষ করে দিতে চায়
সন্ত্রাস?
সন্রাস নয় তো কী বলবি একে? আমি নিজে শের শাহর কাছে গিয়েছিলামম্রাট হুমায়ুন পাঠিয়েছিলেন আমাকে। তা গিয়ে কী দেখলাম জানিস?
কী দেখলেন?
দেখলাম শের শাহ প্রখর রৌদ্রের মধ্যে কোদাল নিয়ে তাঁর অবস্থিত স্থান দুর্গবদ্ধ করার জন্য গর্ত কাটছে। আমাকে দেখতে পেয়ে বলল, মোল্লা সাহেব আপনি দিল্লি ফিরে যানগিয়ে সম্রাটকে বলুন আমি যখন যুদ্ধ করতে চাই, তখন সেনারা যুদ্ধ চায় না আবার আমি যখন যুদ্ধ করতে চাই না, তখন সেনারা চায়। এবার বল মাথা গরম হয় কি না? – বলতে বলতে মোল্লা সাহেব ছেলেমানুষের মত কেঁদে উঠলেন
বিবাক বলল, একটা কথা জিজ্ঞেস করব? শুনেছি মুঘল সম্রাট হুমায়ুন বাদশা না কি সুন্নী? ওনার পিতাও তাই ছিলেনসম্রাট দিল্লির সিংহাসনে বজায় থাকুন কিন্তু ওনার পাঠানো সুবেদাররা বাংলাদেশকে শাসনের নামে কেবল শোষই করে গেলেন! আমাদের মত সাধারণ মানুষের কথা উনি কোনও দিনই ভাবলেন না
কান্না ভুলে মোল্লা সাহেব তীব্র সন্দেহের দৃষ্টিতে বিবাকের দিকে চাইলেন। এ যে অন্য সুরে কথা বলে!
দেখ তোরা হিন্দুরা বড় বেয়ারা! হিন্দুদের খুশী করার জন্য সম্রাট যথা সর্বস্ব দিতে প্রস্তুততবু তোরা কিছুতেই সম্রাটের বশীভূত হতে চাস না কেন বল তো? এর দাম কিন্তু তোদের দিতে হবে!
বিবাকের এবার মনে হল বলে, দেখুন আমরা পরিবর্ত্তন চাই। দেখতে চাই নতুন সরকার সাধার মানুষকে কী কী সুবিধা দিচ্ছে। শানের নামে মুঘলসৈন্য অসংখ্যবার আমাদের ওপরে অত্যাচার করেছেকোনওদিনই এর কোনও প্রতিকার হয় নিএই তো গত বৎসর হুমায়ুন বাদশা যখন তিন তিনটে মাস এদেশে অবস্থান করছিলেন, বিবাকের খুব ইচ্ছে ছিল যেভাবেই হোক একবার অন্তত সম্রাটের সঙ্গে দেখা করেগৌড় নগরীর নাগরিকদের সুবিধা অসুবিধা জানায় তাঁকে কিন্তু সে আর হল কই? সম্রাট নাকি দারুণ ব্যস্ত
মোল্লা মহম্মদ বললেন, শোন দেশে তো শত্রুর অভাব নেই! তারপর জেহাদীরা যখন খুশী আমাদের আক্রম করতে পারে। তুই এক কাজ কর বরং। খুব শীঘ্রই আমি দিল্লি যাব। তুইও চল আমার সঙ্গে গিয়ে দেখা করবি সম্রাটের সঙ্গেজানিস তো খুশী হলে সম্রাট তোর ভাগ্যও বদলে দিতে পারেন! একথা শুনে বিবাকের মনে হল মোল্লা সাহেবের এই প্রস্তাবে এক্ষুনি তার রাজী হয়ে যাওয়া উচিত গৌড়ে তার আর থাকতে ইচ্ছে করে না। কী আছে যে এখানে শুধুমুদু পড়ে থাকবে! বাংলা এখন ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদি সব দিক থেকেই পিছিয়ে পড়েছে 


(ক্রমশ)

২টি মন্তব্য:

  1. দুর্দান্ত! হঠাৎ ইন্টারনেট, মোবাইল ছেড়ে ঘোড়সওয়ারের সময়ে পৌঁছে দিলে! অনেকটা কৌতুহল জাগিয়ে ঝট করে থামিয়েও দিলে!

    উত্তরমুছুন
  2. দুর্দান্ত শুরু ৷ পরবর্তী পর্ব পড়ার অপেক্ষা

    উত্তরমুছুন