জলজ
বিলাপ
তীক্ষ্ণ
দৃষ্টি নিয়ে সূর্য পুব থেকে পশ্চিমের দিকে
যেমন
ঝুঁকতে থাকে, বস্তুর থেকে ছায়ার বৃহত্তম রূপ
হলুদ
পাতায় লুকিয়ে রাখা পেরেকের দৈর্ঘ্য
দেওয়ালকে
অস্বীকার করে অসম্ভব সাহসে
অনেকদিন
ভেবেছি টুকরো করবো পেপারওয়েট--
ভিতরে
নদীগর্ভে নুড়ি ফলকে শ্যাওলা লিপি,
আছে
ধূর্ত প্যাঁচার শিকারি রাত আর ক্ষুধা,
কাচের
ঘরে আটকে রঙধনু আঁশটে মাছ।
তবুও
হলুদ চিঠির স্ফুলিঙ্গ শব্দডানা পুড়িয়ে দিচ্ছে
সবুজ
বনে ঢাকা পর্ণকুটির, পাতার আসবাব;
পাশ
দিয়েই বয়ে চলছে দুর্বার স্রোতস্বিনী
মুছে
দিয়ে তার সমস্ত জলজ বিলাপ!
রৌদ্র পোষাক
দড়িতে ঝুলছে তোমার পোশাক তুলে নাও
পুড়ে যাবে বেলার বেলফুলের পাপড়ি জোড়া
সুগন্ধের বুকে রাখা পানের পিক ছুড়েছে অজান্তে কেউ
ধুয়ে নিও দু'হাতের কবজি জোড়ে; সুযোগ
মতো
নামহীন কোনো গৌণের কাজ নাও হতে পারে
ক্ষমা করে দিও, না মেনে নেওয়া সহজ না হলেও
হয়তো অন্ধ ভ্রমর ভুলে হুল ফুটিয়েছে কষ দাঁতে
অনেক সময় পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে এলো
পোশাক তুলে নাও সন্দেহ না রেখে
এই
পোশাক দিও না কোনো সর্বহারাকে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন