শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৮

অভিষেক ঘোষ


মরুভূমির জল


এই চোখই তো জানে জোনাকি কত আলো দিয়েছে এ পথ
এই চোখই তো জানে আমি কতটা একা হয়ে বসে আছি
এই চোখই তো জানে তুমি ছায়ার ভিতর থেকে মতামত দিয়েছ,
যেন সহ্য করে না কেউ, কারও দোষের কাছাকাছি এসেই 
মারতে গেছে পিস্তল খুলে, মারতে গেছে রক্তের ভিতর ঘর
আমি মরে গেছি যেন মরে যাওয়াতেই ভেসে ভেসে আসেনি গলার স্বর
সেই তো আমার নয় আর যাকে জড়িয়ে ধরে অনেক অনেক দিন কাটে
খোলা হাওয়ায় খোলা মাঠে খোলা মনে
মোমবাতির নীচে কেঁপে ওঠা ছায়ার আগুন,
আমি ভাত দিয়ে মাখিয়ে ফেলেছি ঐ সমুদ্রের নুন, যাকে ফেলে গেলো আলো     
যাকে ফেলে গেল অনেক অনেক বালির তলায় লড়াই করা কাঁকড়ার দল
যাকে ফেলে গেল খিদে, ফেলে গেল তেষ্টা, ফেলে গেল মরুভূমির জল
তখনই বসতে ইচ্ছে করল আবার সাদা কাগজের পাশে... ফুটে উঠল রঙিনফুল, ফুটে উঠল জ্যোৎস্না আমাদের বাড়ির পাশে
কিন্তু সেই বাড়িতেই তো এত অসুবিধা, কাছের মানুষের মৃত্যু চিন্তা করা ভোরে
আমি পালিয়ে এলাম কোথাও না... আবার কোথাও থেকে কোথাও যেতে যেতে
বিন্দু বিন্দু করে শব্দ বেড়ে চলল
আর মুখে বলল চুপ থাক... ঠোঁটে দে হাত,
তাও যদি এক একবার কথা বেড়িয়ে আসে, যত্ন করে গুছিয়ে তোল তাদের
চোখের সামনে,
যাদের মনে মনে আজও রয়েছে আঘাত।


কী করব তাই যখন জানছি না, তাই মানতে হয়

                                                                                                  (১)                     

প্রতি সন্ধ্যাবেলায় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকলে বর্ণ হারাবে ভেবে, সে দাঁড়িয়ে থাকত... টিউব লাইটের আলো জ্বলছে নিভছে ফুটপাতের কোনো দোকানে আর  মশারি পাওয়া যাচ্ছে না বলে খাঁচার আঁচর ও পাখির শীত হয়ে যাওয়া মৃত্যুর ঠোঁট ছুঁয়ে যদি একবার শপথ নিতে বল আমায় তবে বলব আর আকাশ হব না আমি।  

(২)

একটা ঘর হই আগে, দেয়ালে দেয়ালে কয়লার কালো, যা নিজেকে ভালোবাসতে  দেবে না, যা তোমাকে ভালোবাসতে দেবে না আর তীব্রভাবে, সে ভালোবাসা হারিয়ে  গেলে যদি একটা পাহাড় একটা পাহাড়ের কাছাকাছি চলে আসে কোনো অচেনা আঙুলের মধ্যে, তবে শুধু কুয়াশা নিয়ে কথা ছড়িয়ে যেও না। 

(৩)

মাদুরে বর্ষাকাল যখন ঘষতে পেরেছি, যখন হৃদয়ের আপন চলে যাওয়া অনুভব করতে পেরেছি, তখন বুঝেছি লেখা থামিয়ে দিয়ে একটা গাছের নিচে বসে শুধু একদিন কাঁদি। একদিন কাঁদলে দু’ দিন কান্না পাবে ভেবে, আর কান্নাটা ঠিক করে ভেবে ভেবে লিখলাম না...



1 টি মন্তব্য: