পাতা
শূন্যপাতা পড়ে থাকে
উন্মুক্ত মনখারাপ
শিথিল মৃন্ময়ী
তমসা ঘন বেআদব
মাগো কোনো তীক্ষ্ণ ঘ্রাণ
শুষে নেওয়ার মতো নীরবে
বাড়তে থাকে নিভৃত যোজন
খামার
কিছু ডুবে যাওয়া চাঁদ
খাবি খাচ্ছে
মাথায় নিকষ আলোর বিষ
বিষাক্ত রেডিয়াম তুলসীমঞ্চে
নিকোনো উঠোনে ছড়ানো আক্ষরিক
বহু বহু আলোর পসরা
হেঁটে আসা ঋতুর কাঠামো
আলোমাখা ঘর হতে চাইছে
আলোরেণু খামার বাড়ির গলিপথ
মায়াতান
বিজনে এসেছো
বিপ্রতীপ সান্ধ্যযান
বেলাশেষে রোদের মার্জনা
কেতাবী উড়ে যাওয়া দিনমান
ভিতর থেকে উঠে আসা
হাওয়াকল
মাথা খুবলে মোমের বহতা
সমবেত কোনো আলেয়া নেই
সোহাগী পরবাস আবিষ্ট চরণে
মায়াতান মায়াতান ঘোরে চরাচরে
কিছুটা নতজানু আলহৈইয়া বিলাবলে
শ্রাবণ
রোদের উপরে ধুয়ে যাচ্ছে
নিঃশ্বাস
বাতাসের কোলে বহতা মধুমাস
আমাকে রেখো না শ্রাবণে
বৃষ্টিধোয়া কুয়োতলা গরাদে
হে প্রিয়, একাকী এসো
চুপিসারে
তীক্ষ্ণঘ্রাণ তব এই নিবিষ্ট
চাদরে
রাধিকা জমায় আপ্লুত ভ্রুকুটি
পৃথিবীর চুম্বন চুপিসারে
হৃদয়ে রেখো না জঙ্গল
হিমসিম খাওয়া ছাইপাস
যেন বা মিছিল ছুঁয়েছে
বিপ্রতীপে
বিকেল
কথা কুড়িয়ে রাখার বেলাশেষ
তীব্র কিছু ঘনায়মান ক্রিমসন
ছবির ভিতরে জমছে ঘুণপোকা
রিদমিক বিস্ময় আস্তাকুড়ে
পাড়ি দেওয়া আলাপচারিতা
তথাগত হয়ে বসে রয়েছে
যেখানে অলকানন্দা উঠে আসে
যেখানে ঋতুটান পরিশেষে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন