শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৮

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়


শোকদিবস

অস্বীকার করতে পারে না চোখ
ভোরের বেঞ্চিতে সে দেখেছে
শিশিরের কান্না
শিশুদের রুমালে স্পষ্ট সে দাগ
সূর্য খেলে নি ঘাসে ঘাসে

রবিবার

এতোটা নীরব মাংসের গন্ধ
পাই নি কখনো
রোদ মাথায় বসলে গাছেদের আদরের অভাব বেশ টের পাই
আগুন ভরা বেঞ্চিতেও পোড়া
হচ্ছে না আমাদের
ফুলবেচা অন্ধ মেয়েটি
বাসি গোলাপ
রেখে হারিয়ে গেল

উদ্যানে

কিছু কৃত্রিম ফুলের গাছ আর ঝরনায়
ডিজিটাল পাখি শব্দের ভিতর
বারবি ডলের দোলনা
আমরা পরস্পরের হাত ধরে
ঠোঁট ছোঁয়ার ভান করলাম
দূষিত হাওয়ার নগ্ন নাচ
আমাদের মধ্যেকার আবহাওয়া
ক্রমশ উষ্ণতর করে তুলছিল

ত্রিফলা

(১)

দড়ির খেলা কিশোরীর
পা
দেখতে দেখতে
ভারসাম্য টলে
একটা আকাশ কার দখলে
খলের না নিখিলের
খিল খুলে
বাহির হেসে ওঠে
ঠা ঠা রোদ্দুরে
পিপাসায়

(২)

সন্ধিস্থলে লুকোনো পেটিকা
ঈশ্বরের জিভে লাল
ফুল পাতা সরিয়ে নিলে
হরিলুট
মিষ্টি বাতাসার গন্ধও
ধরিত্রী শুয়ে আছে
সর্বংসহা
হা হা ধর্মের আরতি
রতিসুখে

(৩)

গলির বেকার কুকুরেরা
সঙ্গমে দুর্বল
আওয়াজ দিতে পালিয়ে গেলে
ওদের বকলেসের দাগ ধরা পড়ে
একটা এপিটাফ লিখে
ঝুলিয়ে দি সেইসব ভিখিরীদের
যারা বাঁচবার জন্য
লিঙ্গ বন্ধক রেখেছে
আর এরা রাক্ষসগণও নয়


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন