শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৮

পৃথা রায় চৌধুরী


তবু ভুলে থাকা

শিক্ষাদীক্ষা হাতের পাঁচ ছুঁড়ে ফেলেছি ইতরামির নেশায়
কোথায় অসিপত্রবন জেনে অবিলম্বে জানিয়েছি বাজপাখি দৃষ্টিকে

তুমি ঠিকই বলেছো, বড় বেশি মনচিত্রের কথায় দাঁড়িপাল্লার শাসন চলেছে
আর যেখানে আমার কলম, সেখানে জমেছে ভুষো
তার ওপারে স্তব্ধতায় শুধু বিশ্বাস লিখে দিতে হয়

পবিত্রতা অথবা তুষারঝড়... প্রশ্নপত্র বেমিসাল
আটাশ নরকের হাসি হেসে মেনে নিতে হয় বহুমূল্য ভাবার অপরাধ
দ্বিজ, তবু জেনো স্ত্রীলিঙ্গের অ-দ্বিজ হবার সমন্বয়সাধন বেশ জানি

সভ্যতার সাথে সর্বস্বান্ত করার কৌশল জানলে
অকপট উদাত্ত বৈষ্ণব পদাবলি...
ভালোই জানো বিরহের চলন মেয়েলি।


চাতক

কী কথা বলতে গেলাম,  
হঠাৎ রাস্তা জুড়ে বৈদ্যুতিক গোলযোগ
কোথায় নির্বাচনী চিৎকারের শেষ নিঃশ্বাসের সাথে
আমাদের প্রেম যেন হাজার ডেসিবেল হয়ে ছড়িয়ে পড়লো
সারা কলকাতা

গোলাপি লিপস্টিকের সাথে পুরুষালি ঘাম মেশার বুকে
মোড়ের মোবাইল রিচার্জের গুমটি থেকে
হানা দেয় সস্তার এমার্জেন্সি খঞ্জর

তবু...
তবু আমাদের ঘিরে ধরে নিষিদ্ধ প্রপাত
ফ্লাইওভার জুড়ে কুঞ্জবন আর আমার না দেখা যমুনার ধার

ফিরি...
বন্ধ ডাকঘরের পায়রাডাক ঘুলঘুলি পেরোই
নিজেকে মেলে ধরি লন্ঠনহীন শহর জুড়ে
তোমার রেখে যাওয়া তলানি জ্যোৎস্নায়।


দূরে থাকি

চোরাবালির দেশে উন্মুক্ত ঝর্ণার
গর্বে বেঁধে নেওয়া মীড়,
তুমি তাকে ভেবেছিলে বেসুরের উৎস।

বদলে গিয়েছে আগাম অনুভূতি
তোমার উচ্ছিষ্টটুকু দিতে চাওয়ায়,
এই তুমি খুলে দাও
একের পর এক ইতিহাসি বাক্স...

প্রশ্নদের শরীরে লিখে দাও,
দেবো না কোনো কৈফিয়ত;
ছুঁড়ে দাও দিনলিপি আদরের শেষ।

ধাপে ধাপে সন্ধ্যে লাগা কাচে
অসময়ের মেঘ ঘনিয়ে দিতে ওস্তাদ, তুমি
বিষণ্ণ কলমে ব্লটিং দিতে হুকুম করো,
সাথে চাদর রেখো, বড়সড় বেশ...
...বেশ!


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন