মধ্যরাতের প্রলাপ
প্রথাগত হরতাল।
রাতকে জাগিয়ে রাখছে একপাশে টহলপুলিশ
আরেক পাশে ককটেল আতঙ্ক।
ঘড়িতে প্রায় দুটো, আমরা বেরুলাম ওষুধের
খোঁজে
কনকনে বাতাসের বিরোধিতাস্বরূপ কিছু মানুষ
তখনো রাস্তায়।
দুজনের রাত্রিভ্রমণে তৃতীয়মুখ ভ্যানচালক
ভ্রমণই বলি যদি প্রয়োজনকে - শুনতে স্বস্তি
লাগে।
ট্রাকে নরম লাল আলো জ্বেলে
চালকের ঘুমানোর দৃশ্য শেষে
তুমি দৃষ্টি ফেরালে আকাশে;
আর আমি স্থির তাকিয়েছি
নিজের স্নায়ুতে ক্রমাগত কম্পনের দিকে।
তোমার কণ্ঠে মুখরিত হতে হতে
বিক্ষিপ্ত মনের সঙ্গে গতি পেয়ে গেছে
নক্ষত্রপথ, ভ্যানের চাকা।
ডিসপেনসারির সাক্ষাৎ শেষে ফেরার পথে
দেখি অন্ধকারের মুখোমুখি অপেক্ষারত গণিকারা
চোখে, ঠোঁটে এত রঙ - সব রঙের অর্থই এক!
কানের গভীরে জমানো চিৎকার
আমাদের দুঃস্বপ্নের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়
মিথ্যে পাহারা ভেঙে এ শহরে ঢুকে পড়ে মৃত
সৌন্দর্য।
তবু রাত্রি কী এমন রহস্যে রোজ খুলে দেয়
দুয়ার
ভাবতে ভাবতে তলিয়ে যাই ব্যক্তিগত অন্ধকারে।
মা
বাড়ন্ত অর্কিড কী গভীর ভালোবাসে সে!
তুমি যার ভেতর ঘুমন্ত ছিলে,
তুমি যার ছায়া ঝংকার
বিন্দু থেকে অধিবিন্দু। নবজাত পাতা।
ঘূর্ণায়মান ঋতু,
তুমি তার অশ্রুত স্বর।
যার অন্ত্র থেকে তোমার শুরু,
তার সত্তা এমনই ধারালো আর ঘোর লাগা-
যেন কোনো ইম্প্রেশনিস্ট পোট্রেইট!
খসে পড়া হাসি
তার ঠোঁটে ফিরিয়ে দিতে
বারংবার বাধিত থাকে নিখিল।
চাবিয়াল
কোথাও না দাঁড়িয়ে
কীভাবে তুমি মেপে নাও পথ!
নিজের ভেতর প্রতিস্থাপন করো।
কাচের বয়ামে
রঙিন লাভনোটগুলোতে
চামচ দিয়ে নেড়েচেড়ে দেখো
আমাকে।
হাততালির বাইরে
টেবিল ল্যাম্প
সামলে রাখে রাতের পরমাণু।
ভোরে ঘুম ভেঙে দেখি
আমার বাহুতে ছুটন্ত ঘোড়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন