চুম্বন
(১)
আকাশে রোদের গান
ধান বাতাস ছুঁয়ে ছুঁয়ে ওড়ে তুষের আদর,
রোদ আর ধান-তুষ!
এই সমস্ত চুম্বন কাল সমাপ্ত হয়ে গেলে
তোমার ফিরে যাওয়ার আহ্বান আসবে জানি
প্রকৃত ঘরকান্নায়;
তাই, দাগ রাখিনি কোনো রক্তিম আদরের
স্পর্শ যে থাকে তবু অনন্ত গভীরে!
(২)
এখন চৈত্র মাস। দহন কাল ছেঁয়ে নামে আমার দীর্ঘ বরিষণ।
খুব ভিজতে ইচ্ছে করে জানো তো!
তাই মৃত্যুকে ওষ্ঠে জড়িয়ে নীলাভ রেখায়
স্নাত হই আজ।
একমাত্র
শরৎ-ই জানে আমার সমস্ত বসন্ত ঋতুর মানে।
অনুভবে
মাঝে মাঝে নিজেকে উজাড় করে দিই বৃষ্টির হাতে।
দেখি কেমন করে শ্রাবণ ভালোবেসে
চলেছে
মল্লারের তরঙ্গ-ডাক
মেঘের ভিতর দিয়ে কত-শত উড়ো চিঠি
বহন করে চলেছে
সে দেশের ডাক পিওনের দল,
দেখি তাদের সহজ সরল স্পর্শতায় মাখা
শান্ত চলাচল।
মাঝে মাঝে দু-একটা ভেজা পাতা এসে
আমায় ছুঁয়ে দিয়ে যেন
জানিয়ে যায় সৃষ্টি কাকে বলে,
এই বেশ ভালো, আবার
কখন রোদ উঠবে
সেই আবার নিজেকে বন্দি করার খেলায়
সাজানো
দরজা কিংবা জানালার আড়ালে।
মায়াজাল
মায়াজাল বুনতে জানো তুমি!
আমি শিখেছিলাম, বেঁধেওছিলাম
মায়াজাল,
যেমন করে জাল বেঁধে চলে ওপারের
মাঝিরা…
আঁধারের সাথে আঁন্ধার রঙের কোমল
পেলব সুতো দিয়ে!
শব্দহীন অযুত নৈঃশব্দের অনুলিপির
বাঁধন দিয়ে দিয়ে
বুনেছিলাম ওই মায়াজাল।
তুমিও তো ছিলে সে আঁধার পথে?
যদিও দিন ছিল সেদিন
আসলে সবটাই যে অদৃশ্য সুতো পথ-রেখা
মাঝ বরাবর বয়ে যায় মায়ার অনন্ত
বাঁধন
জাল ছাড়িয়ে অতল জালের দেশে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন