বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০১৭

স্বপন রায়

বৃষ্টিকোলাজ-১


ণিকাই আলো, বৃষ্টিমরাল যখন জলের শম্পারা

মিশ্রিতপ্রায় তুমি   তোমাদের সেরিকালচার   মাছ নিয়ে
কাঁটাচামচের হেঁয়ালি নিয়ে
হাসাহাসি

পরে লো-ভোল্টেজ হয়ে যায়
মৃদু সে সব খুলছে এমন
মহিলা হয়ে উঠবে এমন খোলা অকাতর সূচি
আর শব্দটা ঝর ঝর   শব্দটায় টিমরঙের স্পিরিট
হাসিগুলো টো টো টো

বৃষ্টি না মীনাবরী, নাকি চুমু থেকে বেরিয়ে যাওয়া স্পটেড ডিয়ার
তুমিও কিরকম যেন
হাসলে চোখের কোণ দিয়ে, কী যে হলো, জলরঙ চলে গেল
টিমগেমে

কিছুটা বারপোস্ট মুছে দিচ্ছে বর্ষা যখন... 



উপকবিতা-৫


আমি অনেকক্ষণ, তুমি কিন্তু নেই, তুমি পাল্লা খুলে ডেকেছিলে, তুমি কখন যেন  চলে গিয়েছ

পাল্লা খোলার শব্দে আর কিছু হোক বা না-হোক, কুকুরটা ডেকে উঠেছিল
এইচ.এম.ভির কুকুরটা

কুকুরের কাছেই ড্রপ খাচ্ছিল বৃষ্টি, আর আমি এসেছিলাম                              আমার গায়ে ট্রেনের দাগ, তুমি                
মেঘে মেঘে চেরা                 
রফি, কিশোর, মান্না দেকে জানতাম, বিট্‌লস জানতাম না
সেই তখনকার কথা         কুকুর যখন ডাকতো

তুমি বলেছিলে, আসলে কাঁদছে ও, ওর মালিকের শোকে কাঁদছে, আমি টিকিটটা ছুঁড়ে ফেলতে ফেলতে ভাবি, শ্রমিকরা কেঁদেছিল?

এসে এসে বসন্ত এনেছিলাম। গিয়ে গিয়ে বর্ষা। তুমি পাল্লা খুলে ডেকেছিলে 
বর্ষার পাল্লা খুলে একদিন ডেকেছিলে তুমি

ট্রাকের নিচে একটা চিৎকার ফট্‌ করে লম্বা হয়ে গেল, খুব বৃষ্টি, ধুয়ে যাওয়া দাগের দিকে তাকিয়ে, খোলা ছেত্‌রে যাওয়া কোন কিছুর দিকে তাকিয়ে        
আমি কেঁদে উঠিনি

 কোনোদিনও ডেকে উঠিনি...






৩টি মন্তব্য:

  1. হাজার দুয়ারী হাজার বাতায়নী কবি স্বপন রায় এর কবিতা

    উত্তরমুছুন
  2. অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য দেবযানী। স্বপনদা।

    উত্তরমুছুন
  3. এই কবিতা পড়ার জন্য একশ বছর বেঁচে থাকা যায়

    উত্তরমুছুন