বেঁচে থাকার প্র্যাকটিস
গোগ্রাসে গিলতে থাকি
মেঘ কুয়াশা গাছেদের স্মৃতি,
ধোঁয়াশা তাদের গিলে ফেলার আগেই।
এই খিদের দেশে আমার পকেটের
সামান্য টাকাতে কিছুই হবে না বুঝে
আমি সিগারেট টানতে থাকি প্রাণপণ।
যদিও ওটা নাকি আমার খাওয়া বারণ ছিলো
তুমি মনে করালে আজ।
তুমি তো জানো আমার বেঁচে থাকাও নিষেধ ছিলো।
তবু আশ্চর্য বেঁচে আছি।
আর ওই যে মানুষগুলোকে একমুঠো করে চাল দিলাম আমি,
দিতে লজ্জা করছিল আমার,
ওতে তো আধপেটা খাওয়াও হবে না ওদের,
তবুও ওরা বেঁচে আছে দেখ।
ওদের দলের ভেতর ছিল এক বাঙালি বুড়ি
যে আরেকটু দাবি করছিল
কিন্তু সেটা রাখতে পারলাম না বলে
পালালাম আমি।
ফিরে এলাম সেই জ্বলন্ত আগুনের কাছে
যার ছাই গায়ে এসে পড়ছে এখন।
একটু জ্বালা জ্বালা করছে কি!
হে পুজো, পুজো হে
আদর্শের মানে আমরা তো ভুলে গেছি অনেকদিন।
পুজো আসছে
এবার সুখী হয়ে উঠবে সবাই
চারিদিকে আলো চমকাবে
গান হবে
আর কাজের মেয়েটা তার নাতিনাতনির জন্য
নতুন জামা কিনবে বলে সমানে
ঘ্যানঘ্যান করবে আমার কাছে।
সামান্য পাঁচশ টাকাই তো
তবু কেন যে দ্বিধা যায় না আমার!
ক’দিন একটু কম সিগারেট খেলেই তো পারি!
ভাবতে ভাবতে আরো একটা সিগারেট
ধরালাম আমি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন