অভিনবত্ব
শোনো রাজবংশীয় কবি
চোখে তুলসীপাতা রেখে বলছি
তোমার বিচার সর্বশ্রেষ্ঠ একথাই কব।
গলবস্ত্র হয়ে করজোড়ে বলছি
তুমি আর তোমার রাজা মহান।
পায়ে পুষ্পার্ঘ্য রেখে বলছি
মৃত্যুর পর পৃথিবীর সবাই
ওই চরণদুটির তলায় আশ্রয় নেব।
তোমাদের বিচার, রীতিনীতি, শিক্ষা
আমাদের দিয়েছে অভিনব জ্ঞান।
নেই কাজ তো খৈ ভাজ
যখন কোনো কাজ থাকে না টিকটিকি হয়ে যায়
উদোর পিন্ডি বুধো গিলে নেয়
‘এ এন’রা যদি হয় ‘মেঘ’, ঘাড় ধরে তাদের ‘তারা’ করে দেয়
আসলে কাজের অভাব, বদনামী স্বভাব
যে নেই সে আছে, যে আছে সে নেই।
রক্ষণশীল নীল একলা মাঠে ফায়ারওয়ার্কস-এর আশায়
অভিধান নামায়, হাটে বিলি হয়
কচি হাতে সংসার ওঠে না, তাই গুণে গুণে ‘সঙ’সার সাজায়
চাঁদবিবি কোনোদিনই ঠিকমতো প্রেমিকা প্রেমিকা মেলাতে পারে না
তাই অংকের স্যারের রোজ সম্মানীয় পদকপ্রাপ্তি।
অবহেলা
চাঁদের গায়ে পেরেক পোঁতার শব্দ
ক্রমশ: ফিকে হয়ে আসে,
দূরে কালপুরুষ এক রাশ অপেক্ষা নিয়ে
তারাদের সাথে লুকোচুরি খেলে।
বহুদূরে নীল নীলিমায় চাঁদনী আকাশ
আঁধারে আঁধারে মেঘে আর চাঁদে লুকোচুরি
নক্ষত্রপতনের শব্দ কান পাতলে শোনা যায়।
অন্ধকারে পেঁচার চোখ ফসফরাসের মতো জ্বলতে থাকে।
সীমন্তিনী কপালে কালো টিপ্ দু:স্বপ্নের মতো জেগে
আলোকবর্ষ দূরে একটি সোনালী গ্রহ অবহেলার পাশে গড়ে ওঠে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন