তীরন্দাজ
দিন ফুরোলে রাতের ভাঁজে খামহীন সেই চিঠি -
অন্ধকার চৌকাঠ গলিয়ে একফালি সাদা চাঁদ, অবসন্ন বিছানা বালিশ
পাঁজরে লুকোনো বর্শা, খঞ্জর-
ঘুমের মধ্যে কে? আততায়ী ভোর? মিড্লইস্ট ডাইন্যাস্টি?
মায়া কি অ্যাঞ্জেল? অ্যাঞ্জেলো? ব্ল্যাক ডায়মন্ড?
তিমির বিনাশেই যত গান, বন্দী পাখি?
অ্যাঞ্জেলো, বলো, আর কী বলো -
ইতিহাস পালটায় কখনো? জানো? শ্রাবণ অপেক্ষায় থাকে মরা গাঙ-
বর্ষাতি হাতে জেগে ওঠে জেনো বিশ্বাস একদিন
রক্তজবা ছুঁয়ে দিলে হৃদয় সমুদ্র হয় নদী
স্থবির মদের বোতলে যখন ভরে ওঠে ক্যাবিনেট, ফিলথি রিচ
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় মেতে ওঠে পুঁজিপতি
নুড়িই যখন তীরন্দাজ
আব্রাহামের হাতি কিছু না, কিচ্ছু না যখন ঝাঁকে ঝাঁকে আসে আবাবীল...
আবার তোমার জন্য
রাতের অনঙ্গ শিসে এখনও ভিজে ওঠে বিকেলের রোদ
সন্ধ্যেয় অবিরাম বৃষ্টির ছাঁট চৌকাঠে কী যে চায়!
দূরপাহাড় ঠোঁটে নিঃসঙ্গ কার্ডিনাল গেয়ে ওঠে -
কান্ট্রি রোড টেক মি হোম-ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া।
জানুয়ারি ছুঁয়ে এখন কি ডিসেম্বর?
অক্টোবর ফ্রস্ট এসে গেয়ে গেল ব্যবিলন স্মৃতি এই তো সেদিন-
বুকপকেটে রাখা পঁচিশ বছর-
ফুলের মাধুরিমা থাকে না বারোমাস।
বরফ ছুঁয়েছে হক'স নেস্ট, উঠোনে উঠোনে বার্ড -হাউজ
আজও পাখিদের শস্যদানা খুঁটে খায় সক্ষম মানুষ
শীত-জাগা রাতগুলো নিদ্রাহীন, অজন্তা
আমার দুরন্ত কৈশোর, বৈশাখ, চৈত্র কোথায়?
সন্দর্ভ
রাত্রি দ্বিপ্রহর;
মূল আর বর্ণান্তরের মাঝামাঝি
অনূদিত অন্ধকার-
পাখিদের আর্তনাদ তারপর!
পবিত্র নগরীর ব্রথেল
ঈশ্বর এসে ঘুরে গেলেন
স্যাবাথে আরাম-কেদারা
আহ! ছয়দিন- সৃষ্টির উল্লাসে ক্লান্তি
স্বর্গের রেলিং বেয়ে ক্যাকটাস--
আঙুল সূচ; রক্তাক্ত মুখ
হেমলক চুমুকে প্রজ্ঞা-বধির পয়োধা
হারপুনে গাঁথা নীল চাঁদ
এথেন্স; অ্যাগোরা
অন্ধত্বের নানান বয়ান
হৈ-হুল্লোড়--
জিতে গেছে সক্রেটিস...
ক্যালকুলাস
ত্রিমাত্রিক ক্যালকুলাসকে রমণীয় ভাবতেন আমাদের প্রফেসর ড. আর্মস্ট্রং
সেই গ্রীষ্মে তিনি এক ওয়ার্কশপে নিয়ে গেলেন আমাদের-
আমরা দেখলাম ধাতবের জ্বলজ্বল উত্তপ্ত শিখা জ্বলছে উঠছে-উঠছে জ্বলছে... আমরা কিছু বুঝে উঠবার আগেই তিনি বলে উঠলেন, দেখো দেখো, কী সুন্দর!
ক্যালকুলাস থ্রী ইজ অ্যাট ওয়ার্ক!
আমরা বললাম, বুঝিয়ে দিন ম্যাম-
উনি বললেন, থ্রী ডাইমেনশন তোমাদের চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে, তোমরা দেখবে কী করে?
হলো না
মেপল আর লাইলাকের মাঝামাঝি নাম না জানা এক রঙ
আকাশ ঝিনুক তুলি, চাঁদ-বাটি আর
চেরির রঙ গুলিয়ে পোট্রেট - তোর মুখ আঁকলাম পঁচিশ বছর
এখন বুকের ভেতরে ধীর-পশ্চিম
হঠাৎ বকুল-ব্লসম
দূরপাহাড় -
গায়ে কার্ডিনাল ঠোঁটজুড়ে জমে থাকা শীতরাত-গল্প
জানুয়ারি ডিসেম্বর বরফকাঁচি
জানি কেটে নেবে আরও কিছু বুকের পশম
কিছু স্ফুলিঙ্গ
কিছু তরঙ্গ
রাতের শেষট্রেন না আসা অবধি আরও কিছু রডোডেন্ড্রন
ফেরার কথা ছিল। সম্ভব?
হানিসাক্ল তৃষ্ণা, উদ্বাহু আয়ুর উল্লাসে প্রোথিত শেকড়...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন