রক্তোলাস
বালিশের ওয়ার থেকে কিছু গন্ধ খুলে নিয়েছিলাম
ঝকমারি জীবনটাকে পাটপাট চাদরের নিচে
তার অগোছালো কথা
অন্ধকারে খুলে যাচ্ছিলো চোখ--
চোখের মধ্যে যে স্বেচ্ছাচার, নিভুপ্রায় আলোকের মাঝ
আমরা চোখ বুঝে আছি।
রাতের পাখায় উড়ে যাচ্ছে অঢেল স্বপ্নপাত।
তোমাতে না পাওয়ার বিষাদ খোলস ছাড়ছে দেখো
লালরঙ
পলাশ ও শিমুল ঠোঁট।
কিছু ঝড়ো হাওয়ায় এলোমেলো বীজ বুনে যাচ্ছে,
এস এটাই সময়, প্রণয়ের ফুল ছিঁড়ে প্রেমশয্যা পাতি
ভুবনের বিবর্ণতা ছিঁড়ে একটি রক্ত গোলাপ
বুকের ভালোবাসা
অসংখ্য রক্তোলাস ভাঙছে!
সুরঞ্জনী
নখ
রেস্তোরাঁর মালিক রক্তদুষ্টি হলেও
সে কবিতা লিখতে পারে
শ্যূন্যতা ভেঙে যখন একফালি রোদ তার মুখে এসে পড়ে
ও দেখে চৈতের মৃত গাঙ
অতীতে রাখা পকেট হাতড়ে
ও খুঁজে পায়
এক টুকরো সুরঞ্জনী নখ।
রেস্তোরাঁর মালিক কবিতা লেখে
বদ্ধ ক্যাবিনের মাঝে আচমকা ঢুকে যাওয়া ধোঁয়ায়
যখন চোখ তার ঝাপসা হয়
রুদ্ধ হয় শ্বাসের লয়
ক্যাবিন খুলে সে বেরিয়ে আসে।
চোখ আছে, তবু চোখের
আঁধার ধর্ষণ গিলে খাচ্ছে
অনিচ্ছায় তুমি চুপ গিলে খাচ্ছ পাশের ধোঁয়া
ব্যভিচার অভ্যাস হয়ে ফিরছে
নিজের তোলপাড় ছায়ায় তলে তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে নিতে
চাইছ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন