শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

অরুণিমা চৌধুরী

শ্রাদ্ধবাসর

আয়ুরেখাটি ধরে থেমে গেছে পথ,
সেপথে আমার অবাধ গতি...

যাবার কথা ছিল যারতার শিথানে
সাদা থান জেগে থাকে প্রহরীর মতো...

নিশাদূত আসে, ফিরে যায়...
বালাই ষাটটি ঘিরে তেরোটি দূর্বাগাঁথা লালসুতো,
তোলা থাকে স্নেহ মেখেচলে গেলে রাই জেগে আছি পোড়া সলতের মতো... এমন কথা তো ছিলো না!

তিলতিল করে দুধ, স্নেহ,
জলের ধারায় তোমার অবস্থান...

ফিরে গেছো নক্ষত্রের পাশে নতুন অক্ষরে

ছবি স্থির, ফুলমালা আটপৌরে গন্ধ ঢেকে দেয়
ছটি হাত শুদ্ধ গঙ্গাজলে আচমন সারে
পিণ্ড বেদীতে হাঁমুখ ভেসে ওঠে।


এখনো অজাত মেয়ে

অন্ধকার থিতিয়ে এলে জলের আয়নায়
দেখেছি  ত্রিবলি আঁকা শতছিন্ন যোনি

গর্ভভেদী হাতের  উপড়ে আনা  শিশুফুল 

মাংসলোভী কামুক মাছেরা সবুজাভ তামাটে থালায় সযত্নে সাজিয়ে রাখে অপুষ্ট  রক্তাভ কুঁড়ি
রতিশাস্ত্র রক্ত সূঁচ অস্ফুট ভয়কাতরতা
এইসব অন্ধ রাতে নগ্ন ক্ষয়াটে চাঁদও বধির
বোবা মেয়ে মা বলে ডাকেনা আমাকে

চারিপাশে দলা দলা অন্ধকার গাঢ় হয়ে আসে
অবয়বহীন আধো ছেঁড়া স্বর...   
কীভাবে বলবো, মেয়ে তুই মর!
মরে গেলে শোক ঢল এশহর বানভাসি
 মরে গেলে তুইও অমর!
হাজার মোমবাতি শোক রাতারাতি 

 অত:পর অন্তহীন  জলের আয়নায় দেখি
আমারও ছবিতে জেগে  সহস্র আঁশ
আমিও নষ্টভ্রূণ একাধিক দাগ লাগা হাত


 কী মুখে আশ্বাস বল্! কোন গর্ভে জন্ম দেবো তোকে!

1 টি মন্তব্য: