শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সোনালি বেগম

রিপোর্টার


গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরমের নীতিখন্ড। জানুয়ারি মাসের কনকনে ঠান্ডা সকালটা একটু অন্যরকম হয়ে গেল আজ। সকাল ন’টায় ঘন কুয়াশায় ঢাকা রাস্তার ধারে  প্রতিদিনের মতো কতগুলো ছোট ছোট কাঠের টেবিলে ধোপারা কাপড় ইস্ত্রি করছিল। পাশেই অল্প ঝোপঝাড়। সেখানে একটি নবজাত শিশুকন্যাকে পড়ে থাকতে দেখে ওরা। চারিদিকে হৈ চৈ পড়ে যায়। রাস্তার দু’পাশে বহুতল বাড়ির  জানালা থেকে অসংখ্য কৌতূহলী মুখ। সকলের মনে প্রশ্ন কন্যাশিশুটি কি বেঁচে  আছে! কন্যাশিশুটি তবে কার! কখন তাকে এখানে ফেলা হলো! ফেলার সময়  কারুর চোখে পড়েনি কেন! এইরকম হাজারো প্রশ্ন উঠতে থাকল।

অফিস যাওয়ার পথে মঞ্জরী ভাটনাগর এগিয়ে এলেন, বস্ত্রহীন শিশুটিকে একটি গরম চাদরে জড়িয়ে কোলে তুলে নিলেন। ততক্ষণে পুলিশ এসে গেছে। কাছেই অবন্তিকা হসপিটাল।
চাইল্ড স্পেশালিস্ট ডক্টর অমিত সিনহা, ডক্টর রাকা সাক্সেনা ছিলেন। আই. সি. ইউ-তে শিশুটিকে অ্যাডমিট করা হলো 
‘হতভাগ্য কন্যা সন্তানটির বয়স দুই-চার ঘণ্টার বেশি নয়!’
‘বস্ত্রহীন কনকনে ঠাণ্ডায় জমে নিথর হয়ে গেছে। হাইপোথার্মিয়ায় ভুগছে সে। ক্রিটিকাল কন্ডিশন।’  
‘আমবিলিকাল কর্ডটাও ঠিকমতো কাটা হয়নি।’
আশেপাশে খোঁজখবর শুরু হলো ঝুগ্গি-ঝোপড়ি থেকে শুরু করে বহুতল ফ্ল্যাট  বাড়ি। পুলিশ তল্লাশি জারি রাখবে।

পানিপথের জৌহড়ি গ্রামের প্রকাশি তোমর ষাট বছর বয়সে শুটিং প্রাকটিস শুরু করেছিলেন।
‘প্রকাশি, এখন আপনার বয়স কত?’
‘বাহাত্তর’
‘এ পর্যন্ত কতগুলো মেডেল জিতেছেন?’
‘ন্যাশনাল এবং স্টেট লেভেল সব মিলিয়ে পঁচিশের বেশি মেডেল জিতেছি’
‘শুটার হিসেবে আপনার অনুভূতি একটু বলুন’
‘ঘরে সবাই যখন ঘুমোতো, আমি তখন শুটিং প্রাকটিস করতাম। বয়স একটা  সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়, ম্যাডাম!’
রাত অনেক হয়ে গেল। ঘন কুয়াশা, ভিজিবিলিটি খুব কম। একটি কাগজের রিপোর্টার মঞ্জরী ভাটনাগর গাড়ির স্টিয়ারিং-এ হাত রাখলেন। এখন অনেকটা পথ যে যেতে হবে তাকে!     

           

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন