আপেলে রমণ ও বস্তুবাদ
(১)
আপেলে রমণ কেন? ধরো ফুলে প্রখর
কামনা
আকাশে আকাশ বিঁধে মাপো ক্ষুধা আঙুল অক্ষরে
চরিত্র বিন্যাস পারি, দেহ পূজা, বস্তুতে মদিরা
তাই আমার তাপে রাখো আহা সুখ তরল অবাধ
তুমি যা পার না তার হা হা লজ্জা অপরাধ ঘাম
কতটা খুললে হাঁ পুণ্যস্রোতে তোমায় ভিজাবো?
জলেতে জলের দৃশ্যে ফুলপথে ভুল যাচ্ছ তুমি
ভোগে ভুল কামে আঙুল বস্তুবাদের পৃষ্ঠা খুলি
আমাদের শূন্যে এত পদ্মবীজ রয়েছে ছড়ানো
প্রতিটিতে পদ্মমধু তবে কেন মাংস ও শস্যের প্ররোচনা?
বীর্যবান! ঘাম ঘাসে রাখো, অনির্বাণ
কম্পনে পাড়ি হোক
এতটা অনল জমা কিসের এখনো? ঢেলে
দাও অন্তিম অনলে
(২)
আমার স্বপ্নে আঙুল ডুবিয়ে টেনেছ হে ব্যর্থতা
আপেলের মদে থুতু ও বীর্য, কত টাকা
দেবে বল তো?
আমাদের মনে ক্ষয়, নিদ্রায় এত যে
পাথর ভরলে
মায়াতে করাত করে আরপার নষ্ট গোলাপ ফোটালে
আগে জানতাম যুদ্ধ মানেই দাবদাহে পোড়ে অপমান
তেমন মারণ এখন যে নয়! বংশের বীজ সয়াবিন
আমাদের স্নেহে সাবান লাগিয়ে কতটা তুলবে শ্রম?
ঘামে ঘাম হলো ব্যর্থ এবার মার্ক্সের কথা ভাবা যাক
(৩)
চন্দনে চন্দন ঘষো স্মৃতি হোক সুধাময় মা
এছাড়া উপায় নেই সাম্যবাদ রুদ্রাক্ষের মালা হয়ে গেছে
হোল থিং ইজ দ্যাট কি পৃথিবীতে সব কিছুই বিবর সুবাস
এদিকে শ্বাশ্বত লোহার বাটখারা ধীরে ধীরে ছোট করছে ধনী
কথা বলা পড়া শোনা ভাবা আর ভয়
ওসব কিছুই হচ্ছে না শুধু মুহুর্মুহু নানান ক্ষিদে পাওয়া
এছাড়া কি জানিস রে তুই?
তোর মৃত্যু ছিঁড়ে খাচ্ছে নানান ইনসিওরেণ্স
আজকাল ঠিকমতো ঘুমও পায় না
মানুষের কী যে যাতনা ঠিক মতো কথাও বলে না
নিজেই জানে না তার কী বক্তব্য, আর এদিকে
টন টন ইলিশেরা ডিম পাড়ার আগেই মধ্যবিত্ত হাপিস করছে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন