মৎস্যকন্যা
(১)
উজ্জ্বল আলোর ভিতর অবিরাম
পলায়ন করি
দৃশ্যত সুনীল কিন্তু প্রকান্ত গভীরতার
মাঝে রক্তিম আমি, মৎস্যকন্যা
সর্বাঙ্গ শরীর শীতল আঁশ দ্বারা পরিবৃত
বিপন্ন মৎস্যকূলের মিলনের শ্বাসরোধী
সংলাপে ব্যথিত মাংসপিণ্ড
এখানে ‘বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে’
পাহাড় জানে দ্বীপের সংযোগস্থল
ঝিঁঝিঁ পোকা, জোনাকির কলরবে
মৌনতা হয় বিচ্ছিন্ন
(২)
স্বচ্ছ কিংবা অস্বচ্ছ নীলজগতের
মাঝে আমাদের বাস
চাঁদ, সূর্যের
আকর্ষণে বৈপ্যরীত্যের
ক্লিষ্ট সমাচার আসে প্রতিনিয়ত
মানুষের স্পর্শে ঘুচবে না মৎস্যজীবন
এ সত্য জেনেও ভেসে বেড়াই এ বন্দর থেকে ও বন্দর
সকল প্রকার ঘোলাটে জলের
নীচে মাথা রাখি
আয়ুরেখা বরাবর সঞ্চারিত হই
সফল জ্যোৎস্না রঙ গায়ে মেখে
আমি অভিলাষী...
(৩)
শিশুকাল থেকে শুনেছি এ মৎস
রক্তের কোনো অনুচক্রিকা নেই
নষ্ট ইতিকতা থেকে জেনেছি এ
ধাতুখন্ডে লেখা হবে চিত্রলিপি
যার প্রতীকি মুখ্য
অথচ জলবায়ুর সংযোগ ছাড়া
সতত চলি...
এ মৃত উপত্যকায় তারাদের ফিসফাস আসে না
(৪)
কখনও চুম্বনের হৃৎস্পন্দন শুনেছ?
অগ্র থেকে পশ্চাৎ সমীরবিলাসীনি নই
নই উর্বশী কিংবা মেনকা
সেদিন যাকে দেখলাম পাড়ের
কিনারায় এলোমেলো হাওয়ায়
উড়ছিল চুল, লৌহের মতো দৃপ্ত সে
বক্ষ কিংবা গ্রীবায় নেই কোনো উদ্বেগের
চিহ্ন
আমি তার ওমে ভ্রমরনির্বাপক হতে নির্বাপক হতে প্রস্তুত...
কিন্তু নীলের গতিপথে নেই কোনো
উৎসমুখ
(৫)
ইপ্সিত গৃহের দ্বারে পৌছানোর আগে
খসে যায় ডিমের অগ্রভাগ
গোপন ক্রোড়পত্রে নেই কোনো বৈদ্যুতিক আক্ষেপ
তবুও শূন্যতা...
সচেতনতা না থাকলে কান্না যোগ বিয়োগের অন্তিম স্তর ভেদ করে
এইভাবে বাড়ে অপরিচিত ভিড়
সমুদ্র হয় নগ্ন!
অন্তিম গ্লানিতে স্নাত...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন