শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭

প্রণব বসুরায়

ফতুর

চাল মাপা হয়ে গেলে কুনকেটা থাকবে কোথায়?
অবিরাম ভুলের মধ্যে হারিয়ে ফেলছি সুতোর গোলক
ছায়া ছায়া স্মৃতি ভিজে রাজপথ মেদুর সন্ধ্যা।

ওষ্ঠে দিয়েছে কেউ জললিপি এঁকে কল্পনার ঘূর্ণিপাকে
দেখি ভিখারিকে চাল দেন ভরন্ত গৃহিনী খবর চলে যায়
চিত্রগুহায়
রহস্যপাথর, ফাঁকে তার, বিষধর নিস্ফল ছোবল দোলায়--
আমাদের পাকাবাড়ি লোপাট হয়ে যাবে একদিন
সেখানে বসবে দেখো নতুন বাজার, ঝমঝম মল।
আমিও ফতুর, বসে থাকা ঝুরিনামা বটের তলায়...

ময়াল সাপের খোলসে ঘৃণা ছুঁড়ে দাও, আর
কুনকেটা পড়ে থাকে পায়ের কাছেই

নেই অবকাশ

সাদা মেঘ থেকে খসে যাচ্ছে ধূলোর চাদর
রোদের আলোয় পুকুরের জল চকচক করে
হাঁসগুলি এপার ওপার, কাঁপে পদ্মের পাতা
সময়ে গাভীগুলি, একবার আকাশে তাকায়

আমাদেরও বিষণ্ণ থাকার অবকাশ নেই।
গির্জা-ঘড়ির কাঁটা সরলরেখায়
হতবুদ্ধি কয়েকটি বালক
আপাদমস্তক কাগজে ঢেকেছে--
কে তাদের দেবে শুকনো পোষাক?
কে দেবে তাদের টালির আবাস?

রাণি, আজ বড়োই সেজেছো--
তোমার হাতেই ধরা কুরুশকাঠিটা
পশমের বল, বলো রাখবে কোথায়?

উপশম

শব্দরা হাঁটাচলা করে মাথার স্নায়ুতে
যন্ত্রণা পৌঁছে দেয় বুকের কামরায়।
দ্রুতগতি ট্রেন মসৃণ পেরোয় মাইল মাইল
শস্য ভরা ক্ষেত, যুবক নদীটি সেলাম জানায়

ব্রিজ পেরোতে ঝমঝম শব্দ ওঠে খুব, আর 
অনু পলে পৌঁছোয়, যেখানে যাবার

পাহাড়ের গা বেয়ে কাঠ পোড়ানোর ধোঁয়া ওঠে
উঠে কি মেঘেই মেশে!
 
হে বনস্পতি, আমায় কিছু শুশ্রূষা দাও
যদি পারো মাটি থেকে ঠান্ডা জল...
কিছুই চাই না আর 
পারো যদি উপশম দিও


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন