শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭

ধীমান চক্রবর্তী

সময়  


হাত টপকে নামলেই রঙের অনেক হুইসিল
বদলানোর আগেই তুমি ঢুকে গেলে পালক
                                   এবং চড়ুইভাতিতে
ঝুঁকে পড়তে পড়তে থমকে গেল সিলেবাস
                                    কুন্ডলি পাকিয়ে
বউ-এর টেবলে শুয়ে আছে কর্কটক্রান্তি রেখা
সোনামন ছায়া দিনের বেলা
লংকোট কিংবা কাচের ভিতর ঢুকে পড়ে
                                    যেভাবে বৃষ্টিকে বললে
শীতলপাটিতে আনমনা সরলরেখা--
আয়না থেকে বেরিয়ে পাটিগণিত জানায়
আলো মাখা ডায়েরির ভুলে যাওয়া জানায়
                                         আজকাল--
বাড়ির একতলায় ভাড়া থাকে একজন অন্ধকার



সূচনা 


রুমাল হারিয়ে গেলে কেউ কেউ হোটেলে ফিরে আসে
                                             বর্ষাতি গায়ে
টুসকি দিতে দিতে আসে ভাঙা এম্পিথিয়েটার
বেডশিটে আঁকা গীর্জা --
অলৌকিক বোঝানোর সূচনা করে আয়নাকে
                                            বাঁশের ভাড়ায় উঠে
মিস্তিরি রং করছে এন্টিবায়োটিকের লম্বা লিঙ্গ
মন খারাপের লাজুক আলো ইশারায় ডাকছে
সবার চোখে ভালো থাকার খেলায় --
কেউ কেউ দু-দিকই হারায়
                                   হারিয়ে যাওয়া জিভ
ফিরে এসে রসনা নিচ্ছে নতুন জিভের
যাচনামগ্ন মহিলা-দূরভাষ, চুষে নিচ্ছে



ভেতরে বাইরে 


সাদা মেঘপাহাড়ে গেলে হাইজ্যাক করে নেয়
                                                    আমার নাম
উড়ন্ত মাছরাঙাসকালে তাদের ডানা ধার করে
নেমে আসে পরীরামাফলার খোলা পাহাড়ে
আমাদের টমটম আর গড়ানো উল্লাস
                                             পিন উপত্যকা
জলের শব্দে কেমন পরমহংস মনে হয়
আকাশে নীল ঘাঘরার কাটাকুটি খেলা
                                         আপেলের জানালা
গলে যায় তিরতির তিনজন মাথা ।
স্বপ্নেরা উঠে বসে সোহাগে বেহাগে ।

রোদের অল্প তুলনায় ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন