চিত্রকর
দেয়ালে আঁকা
হয়েছে পাঁচপাপড়ি ফুল।
হয়েছে বলে দেয়ালের সে
অংশ দেয়াল থাকেনি
কিছু একটা
পাখি হয়ে গেছে। অর্থাৎ দৃশ্যে কোনো ফুলও থাকলো না আর।
কিন্তু এ
পাখির চোখ কিংবা ঠোঁট বলে কিছু নেই।
নেই ব’লে দুঃখে সে পালক রাখেনি গা’য়
চিকন মাংসের ডানায় ভর্তি
লাল আঘাত - এই যেন তার একমাত্র
পাখিগরিমা
আহা আমার ভয় লাগছে
ভয়কে ছাপিয়ে জল লাগছে, অথচ
কান্নার জলে
চোখের তলায় মানুষ কখনই শীত কিংবা তাপ টের পায়নি। সে সামান্যশ্রেষ্ঠ সে বড় অতুলনীয়।
আমাদের সারিয়ে
তুলতে হবে সমস্ত প্রদেশের ঘা। হাজার বছর ব্যাপিয়া যে রাত্রি ঘনাইছে
হে চিত্রকর, বারুদ গুললেও তো রং হবে কোনো, আমাদের এঁকে ফেলতে হবে পাখির তীব্র
ছবি। মনে রাখতে হবে ঈশ্বর কোনোদিনই পাকাপাকিভাবে পৃথিবীর মালিক হয়ে
উঠতে পারেননি।
অপরাহ্নলিপি
একটা সময় পর আমরা যে আর বড় হই না, বাড়তি হতে থাকি,
বয়স আমার এ কথাটা মানতেই চাইলো না। কিন্তু ওর মতো
রুপালি একটা ব্যাপারের সাথে আমি কোনো তর্কে গেলাম না।
পানিতে পা
ডুবিয়ে দুজনেই অসমাপ্ত বসে রইলাম সন্ধ্যা পর্যন্ত। সন্ধ্যা
ক্রমশ সন্ধ্যাআআআ... হ'তে থাকলো। আর ঠিক নিকষ ভোরের মতো
এই সময়টা নদীর পার খুব রিনরিনে
হয়ে উঠলো। আমার মহাকাশ মহাকাশ ফিলিংসগুলো আর যতকিঞ্চিৎ
নন্দিত আহ্লাদমালা সঅঅঅব ছাইড়া পলায়ে গেলো...
দোতলার বারান্দায়
রঘুদার বাড়ি যেতাম, আজকাল খুব সেকথা
মনে পড়ে।
পূর্ণিমাদি থাকাকালীন যে'কদিন গেছি
দোতলার কামরাটা মুখর হয়ে উঠতো।
আমি হারমোনিয়াম বাজাতাম, উনি গাইতেন নজরুল ইসলামের গান।
কম্পিউটারে মুখ গুজে রঘুবাবু তখন লিখছেন ওনার প্যারিস
ভ্রমণের কথা। ঢাকাও হ'তে পারে, হাতিরঝিলের রোদ্দুরে।
লোকটাকে আমার সম্রাট মনে হ'তো। যার স্মিত হাসিমুখ স্বয়ং অতি নরম একটি কবিতা।
খুব ঠান্ডা ভোরে পূর্ণিমাদি চলে গেলেন।
কিছুদিন পর এক সন্ধ্যায় দোতলার বারান্দায় ব'সে রঘুদা একান্তে আমার হাতখানা
ধরে বললেন, 'এইভাবে ঠিক এইভাবে
আমি হাত ধরেছিলাম ওর। সেদিন, অনেকদিন পর...'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন