শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭

অজিত বাইরী

আপোষহীন  

চোয়াল আলগা করার প্রশ্নই ওঠে না;
দাঁতে দাঁত চেপে
হাড়ের খন্ডের মতো ধরে আছি কলম।

আমি আঁতেলদের সংসর্গ ত্যাগ করেছি;
যারা ভাজা মাছটি উলটে খেতে জানে না
সেইসব বিড়াল তপস্বীদেরও কাছে ঘেঁষিনি।

আমি শুধু শব্দের কাছে ঋণী থেকেছি;
দাসত্ব স্বীকার করেছি কবিতার কাছে।


অন্ধকার কোলাহলময়

অন্ধকারে অনেকক্ষণ চোখ মেলে আছি;
অন্ধকারে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
অন্ধকারও এক সময় হয়ে ওঠে দৃশ্যমান।
অস্পষ্ট রেখায় ধরা পড়ে বাড়িঘর, গাছপালা, প্রান্ত

ট্রেনের জানালা থেকে দেখা অন্ধকারকেও
আশ্চর্য মোহনীয় মনে হয়; তারও আছে
দুর্নিবার আকর্ষণ, রহস্যময়ীর মতো
সে কেবলই তার গভীরে টানে।
চিত্রার্পিত অথচ বাঙ্ময়, নির্বাক অথচ
ভেতরে ভেতরে খরস্রোতের মতো কোলাহলময়।


শুনসান প্ল্যাটফর্ম

শুনসান প্ল্যাটফর্ম। বাউন্ডুলে কয়েকটা
কুকুর আর ক’জন ঘুমন্ত মানুষ।

শেষ ট্রেন ছেড়ে যাবার পর নির্জন প্ল্যাটফর্ম
কারও জন্য কারও অপেক্ষা নেই
কারও কোনো ব্যস্ততা নেই।

প্ল্যাটফর্মের এককোণে উঁকি দিচ্ছে শীর্ণ চাঁদ
মাঝরাতে ডুবে যাবে আঁধারে।

এ চরাচরে, বোঝা দায়, কী উল্লাসে
এক পাগল রাত্রিকে উচ্চকিত করে
নিরুদ্দিষ্ট চিৎকার করে যাচ্ছে।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন