নিঃশর্তের যেটুকু থাকার
(১)
একটানা অন্ধকারের কাছে যেভাবে চোখ সহিষ্ণু হয়ে আসে --
তার থেকেই কাজল, নজরটিকা, রাত এঁকে রাখার অজুহাত অথবা যা কিছু সুখপাঠ্য নয়। আমার
অন্ধতা এইসব আড়াল থেকে একটু আধটু অভিসন্ধি ঢেকে রাখে। স্বচ্ছ পাখনার ওঠানামা অথবা জলচল গভীরের দিকে,
কতবার। আর শুধুমাত্র আলো খুঁজতে বেড়িয়ে কেউ কেউ ফিরেই আসে না, চিরকাল।
(২)
অনেকানেক জানালার মধ্যে দিয়ে ধূলোবালি আর রৌদ্রপালক
নিজেদের বিছিয়ে রেখেছে। অজস্র শর্তাবলী
থেকে কয়েকটি বেছে নিতেই বেলা শেষ। কলসি মাথায় ভরদুপুর পেরিয়ে আসা পিপাসা ততক্ষণে
দরজা থেকে বেশ কিছু দূর। অথচ সেই শূন্য
পাত্রের দিকেই উড়ে যাচ্ছে পাথরের টুকরো, তোমার ঘর থেকে। খানখান করে দেওয়ার
মুহূর্তেও ওরা জানতে পারেনি যা লুকনো ছিলো তা আসলে সুগন্ধি বাতাস। অবয়বহীন। শিকারী
কুকুরের চোখ তাকে খুঁজেও পাবে না।
(৩)
গুটিয়ে রাখা শীতলপাটি মেলে দিচ্ছি দ্রাঘিমা বরাবর,
আবারো। ইচ্ছাধীন আলসেমি শীতঋতু অক্ষয় করে রাখার খেলায় — ভুল দান, নির্ভুল দীঘির
পাশে খোপ কেটে বসে আছে। ছায়া ও আলোর বিনিময়লিপি পাঞ্জার আড়াল থেকে মণিবন্ধে ছড়িয়ে নেমেছে। কুড়োতে বসে সেই যে কখন বেলাশেষ, আলোশেষ!
এজন্মের মত রসদ এই দু’মুঠোয়
রয়েই গেল, দ্যাখো!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন