বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭

শাশ্বতী সান্যাল

অশ্বজাতক


()

কিছু কিছু হার্ডলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে বাতিল বেতো ঘোড়া মনে হয় অথচ রেসকোর্সের সমস্ত বাতি তোর শরীরে জ্বলছে নিভছে কেউ অলক্ষ্যে ট্রিগারে আঙুল ছোঁয়ালেই ঝাঁপিয়ে পড়বে লাল-সাদা-গোলাপি জকিরা...

আমাকে নিয়ে ভাবিস না হলদেটে ঘাসের পাত্রে মুখ ডুবিয়ে নিজেকে ঠিক বুঝিয়ে নিতে পারব, ট্রফির লোভে প্রতিযোগিতায় দাঁড়ানোও আসলে একরকম হেরে যাওয়া...

তাছাড়া... আমার জকি নেই গাড়োয়ান আছে

()

ঘাসের আদল দেখে ইদানিং ঋতুপরিবর্তন বুঝতে পারি
মাঝরাতে হ্রেষা শুনলে মনে হয় আমারই বান্ধব
দূরের বারান্দা থেকে ডাক দিচ্ছে অন্যের নারীকে
তাদের মিলনদৃশ্যে নিজেকে দেখব, এই ভয়ে ইদানিং চোখ বুজে থাকি...

গোলার্ধে রাত বাড়ে দিন ছোট হয়

()

এই অশ্বজন্ম আসলে একটা মিথ তাই তোমার জীবনে দ্বিতীয় নারী এলেই আমি অভিমানে ঘোড়া হয়ে যাই অন্য কোনো পৃথিবীর অন্য কোনো বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল তখন আমাকে আশ্রয় দেয়, ঘাস জল দেয় যৌনঈর্ষামূলক গুহাচিত্র আঁকতে আঁকতে একসময় সেই অন্ধকারেই ঘুমিয়ে পড়ে বিকলাঙ্গ ছেনিহাতুড়ি

এই ঘুমও আসলে একটা মিথ, তাই সহজে ভাঙবেনা... যতদিন না আরেকটা ঘোড়ার ছদ্মবেশে তুমি ফিরে আসছ; সোনালি কেশর, তীব্র চুমু আর শিৎকারের শব্দ যতদিন না জন্ম দিচ্ছে যমজ অশ্বিনীকুমারের, ততদিন প্লিজ আমায় ঘুমিয়ে থাকতে দাও


ডাকে উড়োচিঠি পাঠিও না

৩টি মন্তব্য: