খোঁজ
তালা ভেঙে ফেল,
ভেতরে তিতিক্ষারত পূর্ব সন্তানেরা
অসহ্য তাদের ক্ষমা
নিস্পৃহ চাহনিতে যেন প্রতি পূর্ণিমায় ভেঙে যাচ্ছে সব
সেখানে তোমারো প্রিয় কবিতার খাতা থেকে গেছে
সে যাই হোক, একথা তোমাকেই বলছি
আমার নিরুদ্দেশের প্রাণ
বাড়ি ফিরে যেন দেখি
আমার সমস্ত গোপন সিন্দুক লন্ডভন্ড করে
আমাকে খুঁজেছো তুমি আরো একবার
প্রজন্ম
আনন্দ এসেছে ঘরে নিতান্ত একার ;
এ জগতে সুখী হয়ে কতজন বাঁচে
তার চেয়ে ঢের বেশি বাঁচে মৃতলোক
এবার এসেছে ঘরে জীবাশ্ম বালক...
বালক প্রাণের দিকে ছুটে যেতে চায়
সঙ্গে আছে ভাই বোন, মায়ের জরায়ু
চোখ থেকে রেখা নামে বহুদূরগামী।
কবিতা
পৃথিবীর সমস্ত কথা
আঝোরা বাঁশের গিঁঠে বাসা বেঁধে ফেললেই
কবিতা জন্মাতে পারে।
পুরনো যত ছবি, যত চতুর্দশপদী পংক্তিমালা লেখা হয়েছিল
তাদের কোনো নিজস্বী নেই। তেমনি,
কথার সংসার নেই। বন্ধন নেই। উড়ন্ত যাপন আছে বলে মনে হয়।
একদিন যে ট্রেনের সমান্তরালে পাখি উড়ে গিয়েছিল
সেই ট্রেনে রোজ রোজ যাওয়া আর ফিরে আসাই অনন্ত।
এভাবে, সমস্ত বিন্দু
বৃত্ত হয়ে গেলে
সংসার ক্রমশ বড় হয়ে ওঠে।
এভাবেই পৃথিবীর সমস্ত কথা বেড়ে ওঠে
কবিতায় বসে থাকা পাশাপাশি শব্দের ফাঁকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন