বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭

ইন্দ্রাণী সরকার

মাত্র অনুলিপি

পূর্ণিমার আলোয় ঋষি তাকিয়ে থাকেন সুদূর আকাশে
সেই দৃষ্টিতে ত্যাগ আর বৈরাগ্য পরিস্ফুট
পাশেই স্বাতী, অনুরাধা, পুষ্যা, রোহিনী আদি
বৈরাগ্যময় ঋষি একটি ঠিকানা দেওয়া পাখির চিন্তায় মগ্ন
পাশে তার শুষ্ক ইউক্যালিপটাস
সে রাতের শিকারী পাখিটির আশ্রয়স্থল
সামনে তার যেন একটি আয়না
সেই আয়নায় চোখ রেখে তিনি দেখেন
ঠিকানা না দেওয়া একটি দন্ডায়মান মোমবাতি
রাত জাগা নক্ষত্ররা ভেড়া গোনে
পাঁচ, চার, তিন, দুই, এক
চরাচর ভেসে যায় এক অপূর্ব গরিমায়


দ্বিপ্রহরের আড়ালে

অসহনীয় ভালবাসায় পুড়ে যায় ওদের শরীর
প্রকাশের ভাষা খুঁজে না পেয়ে তারা হয় মূক, বধির
চোখের খরস্রোতা বানে ভেসে যায়  আমার মনের ঘর
যেখানে সারাদিন শুধু আনন্দ আর গানে ভরে উঠত
সেখানে আজ খাঁ খাঁ শূন্যতার স্তব্ধ মরুভূমি  
রাত্রি তুমি নিশ্চুপ থাক, ডুবে যাও দ্বিপ্রহরের আড়ালে
আমি অসম্ভব চন্দ্রিমা, অসম্ভব খররৌদ্র
আমায় লুকোবে কোথায়, এত আভিজাত্য তোমার আছে কি?


প্রিয়তমাসু

প্রিয়তমাসু, লাল কাঁকরের পথে মাঝে মাঝে পায়ের চিহ্নটি রেখে যেও,
অবলা, লাজুক আমি মনের কথা কইতে নারাজ
শুধু আমার নকল মুখগুলি ধরে আদর করে যেও
তাদের সাথে একটু প্রেম করে যেও, সে মুখ যদিও কখনই
বলেনিকো আর বলবেও সে আমি, কী দুর্বিষহ আমি!
আসল মুখটি যে আমার ক্ষতবিক্ষত তাই দেখাতে পারি না
প্রিয়তমা, দেখ আমি তোমার স্বপ্নের সেই রাজপুত্তুর
দেহহীন, ভাষাহীন, কায়াহীন শুধু ছবিসম স্বপ্ন-আকাশে ঘুরে বেড়াই


1 টি মন্তব্য: