ও পঞ্চম (১৯৭০-১৯৭২, কোয়েল নদীর প্রবাহে)
(১)
ছেলেরা যেমন
হয়। সাইকেল থাকলে ব্রেক লাগাবে এমনভাবে যেন কোয়েলে বসতে যাওয়া সূর্যের মনে হবে
আরেকটু থাকি, হারামিগুলো আসছে। নামার সময় নামিয়ে আনে চাপ চাপ হুল্লোড়। কোয়েলে মেশে
যা, তরঙ্গ হতে চায় যা। আমোদখেলাপি বিকেলে ঝুপ শব্দ এবার, জ্বলা সিগারেটের কোয়ায়
সন্ধ্যা নামে। ছেলেরা গান ধরে, যেমন হয় আরকি, অশ্রাব্য। শুনেই চাঁদ কেলিয়ে ওঠে,
ছিলিম ছিলিম হাসে, গাঁজাস্ট্রিপ তৈরি হয়, বীজ ফাটে ‘কায়নাদ’-এর...
(২)
যেমন হয় মানে? শর্টস-এ ফর্দাফাই চুলকানি আর কবেকার আণ্ডাকারির
তামাশা রাখবে? এরকমই হয়, আর গিটার ফিটার দিয়ে ঢেকে রাখে পিস্তল, সংরক্ষিত জঙ্গলের।
এই পুলওভারের উদাসীনতা, কোয়েল দিয়েছে। শীত আর ইস্তাম্বুলের কোন কথা
নেই এখন। কোয়েল ছেলেদের গরম খিস্তিগুলো, মোদো কাঁকড়াগুলো ইস্তাম্বুলে পাঠিয়ে দিল।
যেন, সাতটা পাহাড় পেরোলে রাঁচী, তারপরেই ইস্তাম্বুল...
যত নান
যত না যত নুন যত নু কোয়েলে নীহার বানায়, ন আমাদের নোঙর ছিল। আমরা ছিলাম ন্যাস্টি
বয়েজ, কোয়েল।
এল টাইপ বারান্দায় দাঁড়াতো, মেলে দিত একটা দুটো রোদ, সে আমায়
কোনদিন বা আমি তাকে কোনদিন... পিস্তল ঘুমিয়ে থাকে, আমরা ছেলেরা আর জঙ্গলের দিকে
যাইনা, গিটার লিখে দিই তেঁতুল গাছটাকে, কাল পাখিরা আসবে...আমি, আমরা ডিম নিয়ে
ভাবিতে শুরু করি
অনেক পরে জবাকুসুম ভোর হয়, রোজ
যেমন হয় আরকি...
(সূত্রঃ
দম মারো দম/ মিট যায়ে গম...)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন