বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭

কাজল সেন

ঝুরোকবিতা


(১১৬)

নামেই সাঁকো আসলে নদীটাই বুজে গেছে কবে
ধারাপাতের ধারায় এখন সবাই সাঁকো পার হয় অবরে সবরে
নাচিয়াল নেচেছিল খুব যেমন প্রতিবার নাচে নাচিয়াল
সারাটা পশ্চিমা আকাশ জুড়ে সারি সারি আলিশান
বলবান স্বামী আর তার বলবতী স্ত্রী
গ্যাসচুল্লিতে চাপানো হয়েছে নীরব চাল
সেদ্ধ হলেই পাতে পড়বে অমলিন ভাত


(১১৭

শেষ বেলায় ছিল কাতুকুতু খেলা
সুন্দরী চাঁদ সুন্দরী ফাঁদ
ভারী পাছায় এক্কা দোক্কা সারাবেলা
আর কী যে সেই মধুর মধুর মেলা
অকালকুষ্মান্ডের ছক্কায় জমে উঠল মহাভোজ
স্নানঘরে অসামান্য বাতিদান
যতটা ক্রিয়া ততটাই বিক্রিয়া পরকীয়া


(১১৮

বারোটা বাজার আগেই বেজেছিল এগারোটা ঊণষাট
একটা পাতা খুলে পড়েছিল পশ্চিমপাড়ায়
কেন এমন করলি মন কেন এমন করলি
দুচারটে ছানাপোনা গুটিকয় বেদানার দানা
অজস্র লোপাটের ঘরে আরও কিছু ঝঞ্ঝাট

ফাগুন আগুন হলো শান্ত হয় কি আর দিন দহরে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন