ওয়াকিং স্টিক
আর সব জিনিস ফেলে দিলেও কী ভেবে দাদাভাই ওয়াকিং স্টিকটা রেলিংএর গায়ে হেলান দিয়ে রেখে দিল। শেষ পাতে দাউ দাউ জ্বলছে আগুন। বাঁশ দিয়ে উল্টে দেওয়া হল একটা তালগোল। এই ছড়িটা বড়মার ছিল। বড়মা যখন শয্যাগত তখন এটা দেওয়া হয়েছিল রাঙাজেঠুকে । সেদিনও এমন আগুন জ্বলছিল। আমরা যেখানে বসে আছি রাঙাজেঠু ছড়ি হাতে ওখানেই বসে ছিল। আমাদের গায়ে আজ সোয়েটার নেই। সেদিন ছিল। সেরকমই মেঘলা দিনটা। নদীর ওপারে বন। ছাড়া ছাড়া কতগুলো পলাশ আর শিমুল। ওদিকেও আগুন লেগে আছে। আমরা চুপচাপ বসে আছি ধূসর। তবু কত রঙ তবু কত প্রাণ ঐ চারটে কুকুর ছানার মায়ের স্তন্যপানের দৃশ্যেদ। এসবের মধ্যে বসে থাকতে থাকতেই আমার শৈশব নিয়ে চলে যাচ্ছে জল, লুকিয়ে ফেলছে মাটি। তবু আকাশ দেখতে দেখতে মনে পড়ছে অপেক্ষা রঙের বিকেলে আমার বার্তার জন্য বসে আছে কেউ। আমায় ফিরতে হবে। নিজের পায়ে হেঁটে। গুডবাই ওয়াকিং স্টিক।
থাকা
অনেক আলোর ভেতর যে অন্ধকার থাকে তুমি তার হাত ধরে থেকো। তুমি তাকে নিঃশব্দে পড়াও আলো অন্ধকারের গোপন চুক্তিপত্র। বাড়ি ফিরলে জিজ্ঞাসু দেওয়াল ফার্নিচার বুককেস হারমোনিয়াম খঞ্জনী। টিকটিকির জিভে আটকে থাকা পরিশ্রমসাধ্য শিকার। সারারাত বাতি জ্বলুক। কুয়াশা থেকে সাদা এসে জড়িয়ে ধরবে তোমায়। হাতের উষ্ণতায় ছটফটে মজলিস। সেলেবরা ফিরে যাবার পর লছমন রেখা পেরিয়ে কাছে আসবে এক ভুলে যাওয়া অধ্যায়ের মিসিং লিঙ্ক। তারপর নামের কাউকে খুঁজতে বেরিয়ে রঙিন সুগার ক্যান্ডির দিকে লোলুপ তাকাবে প্রেজেন্ট টেন্স।
অনেক আলোর ভেতর যে অন্ধকার থাকে তুমি তার হাত ধরে থেকো। তুমি তাকে নিঃশব্দে পড়াও আলো অন্ধকারের গোপন চুক্তিপত্র। বাড়ি ফিরলে জিজ্ঞাসু দেওয়াল ফার্নিচার বুককেস হারমোনিয়াম খঞ্জনী। টিকটিকির জিভে আটকে থাকা পরিশ্রমসাধ্য শিকার। সারারাত বাতি জ্বলুক। কুয়াশা থেকে সাদা এসে জড়িয়ে ধরবে তোমায়। হাতের উষ্ণতায় ছটফটে মজলিস। সেলেবরা ফিরে যাবার পর লছমন রেখা পেরিয়ে কাছে আসবে এক ভুলে যাওয়া অধ্যায়ের মিসিং লিঙ্ক। তারপর নামের কাউকে খুঁজতে বেরিয়ে রঙিন সুগার ক্যান্ডির দিকে লোলুপ তাকাবে প্রেজেন্ট টেন্স।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন