বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০১৭

পৃথা রায় চৌধুরী

না-মানুষ

এসো, তোমায় বড্ড ভালোবাসি
এসো, বিষ দিই চুপিচুপি
হালকা থেকে জব্বর নীল...
রাত করে দিই শরীর তোমার?

যখন ভ্যাপসা বারান্দা বলে দিলো
মোটে কৃষ্ণা নই,
খুশি খুশি রোদ রোদ
তোমার আয়নায় বর্তমান তখন।

তোমার ইতিহাসি আতঙ্ক
তোমায় মিছিমিছি ছায়া
তোমায় একটা ছেলেবেলা
আবার যাবো ফর্ম্যালিনের দেশে... যাবে?

কাচের মরা আলোর বাঁধন
গন্ধক বুঝি? না না, তবে?
দেখো, ছুঁয়ে এসেছি একই থাকা
কবন্ধ, রাক্ষুসে হাঙর, শ্বেত পরী...
তোমার প্রিয় চার কেশরি।


ত্রুটি

দাগের শুরুতে কারো নাম এসে পড়ায়
দাগের অধিকার মুছে দিতে
জাহাজ ডেকে সাগর পাড়ি দিতে গেলে,
শোনোনি ঢেউ ভাঙ্গার কাঁপ হকারের ভিড়ে

স্টেনলেস্‌ স্টিল মেয়েতর্জনীতে ফেলেছে সাদাটে ছায়া
যে ভিখারিনীকে দুটাকা দাও রোজানা,
সাকুল্যে জমিয়েছে আট টাকা
নিয়ে যেও... জমা ঝনঝন।

এখন মাঝে মাঝে ঝড়জলে দাঁড়াতাম বিনা ছাতায়
জলের বোতল হাতে গলায় ঢোঁক ধরে রাখি
ভেজামেশা বিড়ির ধোঁয়ায় কাছে রাখি তোমায়...

বিজলিমাঠে দুকানে আঙ্গুল চেপে ভয় পাই
সবাই একা ঘুমোয়;
"এতো লাল!" ছিটকে যাওয়া ব্যস্ততারা বলে যায়।


ফের মুখোমুখি

না, চিনতে পারছি না তো,
কে তুমি?... না, না, আপনি?
"চিনবে না জানি,
তোমার সেই কলেজ কেটে 'শোলে' দেখা,
কতো বার দেখা, তবু কাঠের চেয়ারে পাশাপাশি...
ধান্নোর সেই ছুট... "জব তক হ্যায় জাঁ" কেত্তন!"

কি আশ্চর্য, দেব! তুমি?
"বাঁকানো হ্যান্ডেল সাইকেল,
পেছনের সীটে কোমর আঁকড়ে তুমি,
কোপাই, খোয়াই, সোনাঝুরি...
ভুবনডাঙ্গায় ঝগড়া, সমুদ্দুর,
তোমার কোমর ছাপানো একরাশ মেঘ।"

এতোদিন পরে কোত্থেকে? মেঘটেঘ গুলি মারো, এখন সব...
"হ্যাঁ, সেই ভালো।
মারো গোলি... আমি সেখান থেকেই, যেখানে ছিলাম,
চাকরি করি, তবে মেঘ রেখে দিয়েছি নিজের করেই।
মনে পড়ে, তোমার 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়' দেখে পাগলামি,
চিৎকার করে শ্যামবাটির খালপারে বলা,
"তোর সবুজ খয়েরি চোখ শুধুই আমার"
তোকে দেবার পর, ধূসরতা নিয়ে বাঁচি।"

খুব দেরী হয়ে যাচ্ছে, জানো?
ও অপেক্ষায়... অফিস পার্টি...
আবার দেখা হবে, কেমন?
আজ আসি।
"এসো।"

সলিটেয়ার পোড়ায় অনেক,
মেঘ, কোপাই, পালেদের ছেলে...
রোশনাই...।


৩টি মন্তব্য: