পাহাড় কণিকা, কণিকা পাহাড়
১
ঝরনা ডানায় এসে বসে যে পাখি
তার পাখায় আমার এই চোখ বসাই
তৃতীয়া-চাঁদ জল জড়িয়ে যেই নামে
প্রতিফলনে চোখ দুটো উড়ান পায়
তারপর দেখতে দেখতে, দেখতে দেখতে এই বৃত্ত
এই চতুর্ভুজ আর নিরালা ত্রিভুজ…
তোমাকে স্মরণ করে
একটাও কবিতা লিখিনি…
২
পাহাড় মরুতে আমার হৃদপিন্ড উপড়ে এনে
বসালাম
রক্তরসের রঙে তুমি শরীর হলে
চোখ দিলাম তোমার চোরাপকেটের বোতামের ওপর
দেখলে, ফিদা হতে কেমন লালচ মানুষের
নগ তুমি, খগ উড়ে যাওয়া নীলে তোমার চূড়া
অথচ শুনতে পাও না
এই নাও, কানের পর্দা ঝুলিয়ে দিই কন্ঠায়
শোনো, শোনো বাতাসের হ্যাঙারে রাখা ধ্রুপদ
তারপর ছবি হয়ে যাও ক্যামেরায়, স্টিল-এ বা মুভিতে
তোমাতেই বেঁচে থাকি
আরও অনেক ভগ্নাংশ…
৩
সার সার মাটির মানুষগুলো নদীর ধারে
রাস্তার ধারে
পাহাড় মরুতে চাঁদ পোহায়
নদী গান শোনায়, রাস্তা কথা বলে
‘বুদ্ধ’ ‘বুদ্ধ’ বলে কে যেন ডাকে
ঈশান নৈঋতে
আঙুলগুলো তথাগত হতে চায়
মুদ্রা ভেঙে ধ্যান অচেনা মানুষগুলোকে মগ্নতা শেখায়…
৪
এই হ্রদে কোনও কুমির নেই
কুমিরাশ্রুও
শবের বদলে সুরের গালিচা পাতা,
চাঁদ হাঁটে, মিহি চাঁদের মহিমায়…
হাঁটো পাশে আর ভিজে ভিজে যাও
খুন হও কোনও খুনির দয়া ছাড়াই
ডাঙায় কোনও বাঘ তোমাদের তাড়া করবে না…
৫
খুলে রাখি চোখ ও চশমা
চির-একুশ দৃশ্যের সুর্মা লাগিয়ে ওরা
খেলছে দুলছে…
রেখে যাবো, হ্রদের সবুজ জলের সাদা বরফে
নিয়ে যাবো পার্বত্য সংস্করণ
দেখবো, সব কিছু বদল বেশ, নতুন নতুন…
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন