স্বার্থ-পর
বাবাকে যা যা বলতে চেয়েছি
তুমি শুনে ফেলেছো
বাবার মতো অভিমান মুছিয়ে
মুখে গ্রাস তুলে দিয়েছো...
পরপুরুষ।
তোমার দেওয়া সিঁদুরে মেঘের ভয়
পঙ্গপাল ছাওয়া,
আমার দানা খুঁটে লোপাট,
ভোলাতে চাও অক্লান্ত...
পরপুরুষ।
এখন তুমি খণ্ড
এবার আমি বিখণ্ড
রুপোলী পাকে আগুন
তবু সাগর গর্জে...
পরপুরুষ।
তোমার সাত পাকের ঘর
আমার সাতজন্মের জ্বর
আবছা খেলার চর
লেপটে থাকা পর
...পুরুষ।
ছায়া-ডাক
একেকটা দুপুরের কলিংবেল
তোমার পিঠ হয়ে যায়
দরজার চোরা চোখ
অবিশ্বাস করে নিজেকেই;
জন্ম নেবে বা নেবে না,
দোলাচলে থাকা শ্বাস
বার দুই দেখে নিশ্চিত হয়,
সে তোমারই অপেক্ষা।
তুমি বলোনি তো ফিরবে
শুধু অবয়ব ধরে রেখেছিলে,
দুজনে যখন হেঁটে চলে গেছি
বহুদূর আলাদা পথে...
একটা করে জ্বলে ওঠা বাতিতে,
চা'
গুমটিতে তোমার এঁটো বিস্কিটে,
নানা নিষেধাজ্ঞায়, চেনা দাঁতে...
লিখে দিলে, আলোর প্রাসাদে দেওয়াল নেই।
সুপ্তি
মেঠোজংলামির রূপকথায় সন্ধ্যে নামে
প্রেমের ছাদেরা লুকোয় বাহারি টবের মৌতাতে
সকাল হলেই আবার ভাঙা আলসে বা নদী নদী শাল
অঘ্রাণ চলে যেতে যেতেও বলেছে প্রখর তোর প্রবেশ
প্রকট ঘ্রাণ রাখালিয়া সুরে,
এলোমেলো চুলে চোরকাঁটা ভর্তি হলেও
পাত্তাই দিতিস না
আলনায় গোছানো পাঞ্জাবির পরতে ধুলোরং
জলের পাট ভাঁজের রক্তাল্পতায়
সামনের পুকুরে এখন লাখ লাখ টাকার বসতি
তবু কলাবতী ফোটে নিয়মিত...
বাবুদাদা, তোর এই এত্তো বড়ো প্যালেটে
নিশ্চিন্ত শীতঘুম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন