ঝুরোকবিতা সিরিজ
(১০৫)
মানুষের মৃত্যু ঘটছে
ঐ দেখ মানুষের স্বপ্নের মৃত্যু
আগুনে পুড়ে যাচ্ছে সদাচার
মাটিতে মিশে যাচ্ছে আত্মানুসন্ধান
ভেতরে যারা এতদিন বাসা বেঁধেছিল
তারা সারি সারি বেরিয়ে আসছে সদর দরজায়
মৃত্যুর প্রতিটি দৃশ্য ধরে রাখা হচ্ছে সেলুলয়েড সংজ্ঞায়
(১০৬)
চলতে চলতে আমি যখন আরও কিছুটা চলার কথা ভাবি
থামতে থামতে তুমি তখন থামার কথাই ভাবো
তাহলে একটা অবস্থান ঠিক করা যাক চলা ও থামার
স্ব আলোয় উদ্ভাসিত করা যাক পরস্পরের মুখ
দরজায় দাঁড়ানোর জায়গা কম হলে জানালায় দাঁড়ানো যেতেই পারে
দেওয়াল দখলের খেলায় হাতে যেন থাকে জিওমেট্রিবক্স
(১০৭)
সুমনা এখনও বাড়ি ফেরেনি
কখন ফিরবে জানা নেই
শ্রমণা বাড়ি ফিরেছে সন্ধ্যের মুখে
রাতে আবার বেরোতে হবে কিনা জানা নেই
এষণা আগেই জানিয়েছে সে আর ফিরবে না কোনোদিন
সান্ত্বনা এখনও জানে না কবে তাকে যেতে হবে কোন্দিন
শোভনা শুধু জানে এভাবেই একদিন প্রতিদিন অন্যদিন
(১০৮)
ঘুম ভাঙলে ঘুমের বারোটা মাঝরাতে
বর্ণমালায় তখন অনেক জট জটিলতা
কেউ না কেউ আসবেই জেনে
দরজা বন্ধ করার কোনো দায় থাকে না
সাদা মাথায় হানা দেয় কোঁচকানো গালের বাবার মুখ
কোথায় ছিলে এতদিন কোন্ মহাসাগরের কূলে
সারাটা দিন কাটে অনিদ্রায় অনীহায়
সারাটা রাত কাটে রাতঘুমের চর্চায়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন