বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৭

পিয়াল রায়

পরমায়ু


পথটা শেষ। শেষ হয়ে গেছে ইহকাল। সামান্য ঘরের খোঁজে মানুষগুলো উদভ্রান্ত। গুমোট কথা। ধোঁয়ার হাসি। পা থেকে খুলে গেছে গভীর আওয়াজ। অবশেষে এখানে এসে থেমে গেল সমস্ত উত্তাপ। নেমে গেল থার্মোমিটারে ঘাম। ভিতর থেকে এক বাজখাই গলা বকতে থাকে। অনবরত বকর বকর। লোকেরা অন্ধ হলে নাকি অন্ধ হয়ে যায় আলোও। এ আবার হয় নাকি? যে চোখ আলো দেখতে পায় না, তাকে ছুঁয়ে কি থাকে না আলো? যে ঘরে আলো ঢোকার অনুমতি নেই, সে অন্ধঘরেও কিছু ফাঁকফোকর থাকে। আলোর সরল সমর্থনে সেটুকুই যথেষ্ট। মাঝে মাঝে তবুও কুয়াশা ওঠে। ব্যথার অসহ্য চাপে হৃদয় বাষ্প হয়ে ওড়ে। যারা আসে, যারা যায় টের পায় ঘন আন্দোলন। হয়তো বা পায় না। দোকানের নিষিদ্ধ ঝাঁপ দেখে ফিরে যায়।  ভিতরে আগুন হয়ে জ্বলতে থাকে পরমায়ু। প্রচণ্ড কামনায়।



উপেক্ষা থেকে ক্ষমা পর্যন্ত


উপেক্ষা করছি ভুলভাল খেলা। ইট সিমেন্টে চাপা পড়া দুঃসময়ের কবিতাদের। দেওয়ালের সাথে পিঠের জমজমাট রিস্তা ফুলে ফুলে সাজিয়ে তুলছে কারো অর্থহীন অহং। তুমি আজ বাড়ি যাও মাহুত। আমি সারারাত কাজ করব। আগামী আবহাওয়া  আরামে কাটাতে চাই। বেশরম বেআব্রু সাধনা হবে আজ। তিন ডাইনিকে তুষ্ট করে চেয়ে নেব উত্তাল কোটাল। হৃদয়ের প্রতিস্পর্ধী রূপে।


বেঘোর হাওয়ার কিসসা  ৬


হারিয়ে যাওয়ার আগে সে প্রার্থনা করেছিল একবার সাক্ষাৎ। অতলগামী নয়। নিতান্ত আটপৌরে। না-মঞ্জুর হয়েছিল। বিবিধ ব্যাখ্যায় সংবাদপত্র ভূমিকা রেখেছিল বাস্তবোচিত। রূপোপজীবিনী রেখা কখনোই মিশে যেতে পারে না সংসারী সীমানায়।  এ বিধানের অন্যথার অর্থ সামুহিক অধোগমন। কোনো শোরশারাবা নয়। চুপচাপ  হারিয়ে যেতে চেয়েছিল সে।  শুধু বিনম্র এক প্রণাম রেখে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন