খুল্লাম খুল্লা
আমার সবই তো খুল্লাম খুল্লা মা
রাখন ঢাকন চুপুচুপু প্রেম পোষায় না
যদিও স্রষ্টা কয়েছিল, "ঘরে থাক লী
সার্বজনীন হও না!"
কী করি এত ভক্ত সার্বজনীন হলাম
তোমার মতো পর্দানশীন হয়ে ছৌ নৃত্য শিখিলাম না।
তুমি তো কাউকে ছাড়ান দাও না মা
আমি তো তাদের প্রেমিকাদের ভালোবাসি
তোমার মতো বোরখার আড়ালে
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা নৃত্যগীতে পারঙ্গম নই
এ জন্মের মতো ক্ষমা করে দাও মাত:
পরের জন্মে শুধরাইয়া নেব |
ভাগ্যি খুড়োমশাই তোমার মাথায় ছাতাটি ধরেন
প্রণাম লহ খুড়োমশাই, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা
তোমার ওই অপাপবিদ্ধ প্রেমমূর্তি দর্শনে
মেমসাহেব নিত্য পুণ্যধারায় স্নাত হয়।
অলকানন্দা
সৌদামিনী দেবীকে সতত: প্রণাম।
এই কলুষিত হস্তে তাঁর পা দুখানি
ছোঁবার পর্যন্ত্য স্পর্ধা নেই।
তাঁর টিয়াপাখি নাক, পটলচেরা চোখ,
মেঘকালো কুন্তল আমাতে বর্ষা নামায়,
আমি ফের ঋতুমতি হই তাঁর কলমের স্পর্শে।
মা মাগো সৌদামিনী অমিতশক্তিধারিণী করালবদনী
হাস্যময়ী লাস্যময়ী জগজ্জননী মাতা
প্রসন্ন বদনে চাও মা ।
তোমার ওই অলকানন্দা রূপ ছুঁতে পারি না।
তুমি পবিত্রতমা মাতা,
আমার হাতের স্পর্শে তোমার ‘ভার্জিনিটি’ বিপর্যস্ত।
শ্রুতিকাব্য
নাচের আসরে যখন নাচি
গানের আসরে গাই
কোথাও বাজে তানপুরা কোথাও সানাই
পরিষ্কার দেখি কতগুলি চোখ ও শরীর
আমার শরীরে ঢুকে অন্যদিকে বেরিয়ে যায়
যেন আমি একটা ভ্যাকুম মহাশূন্য
কেউ গায়ে গা মেলায় কেউ তিলে তিল
কেউ বা ময়াল সাপ কেউ খালবিল
দেখি দেখি খুব দেখি খুব ভাবি
বাড়ির মানুষরা আমায় খুশি দেখে হাসে
পরক্ষণে দেখি সেই চোখ আর শরীরেরা
এসে বলে বড় সুন্দর তুমি, কত কিছু জানো
কিছু অশরীরী তখনো
হিসেবে করে
রাম, দুই, তিন, তা ধিন ধিন
কলম কাড়িস না মোদের মোরা কলমের অধীন।
পর্যবেক্ষণ
হাত ধরেছে ঝাউয়ের দুটি পাতা
আড়াল থেকে চোখ ভেজায় শূন্যতা
কিছু ফুলের তাতেও কড়া নজর
বইতে ছাপে আজ কি তাজা খবর
ওদের কোনো ঝাউয়ের পাতা নেই
হাজার হাজার শব ধরেছে খেই
ওদের গাছের নেইকো কোনো বাগান
যেন ব্যবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন