কালান্তর কবিতা
কাল
জীবনটাকে ধরে রাখতে রাখতে
আমি ঘুমিয়ে পড়ি-
জেগে দেখি অনেকটা কাল
পেরিয়ে গেছে,
উজাগর কালগুলি সরে গেছে
অনেক দূর
সকাল বিকেল সন্ধ্যে রাতের
স্মৃতিগুলি
তোমার মুখেও যে লেগে আছে
নিদ্রাকাল-
তুমি আমি
ধরে আছি নিমগ্ন তন্দ্রা।
ছাপ
তোমাদের মতো আমিও মুছে
যাব-
আমার কোনো চিহ্নপাত্রে
তোমার মানস ছাপ
পায়ের চিহ্নগুলি
ধূলিসাৎ তবু তুমি মাথা নত হও।
একদিন আমারই কাঠামো বুঝি
অন্য কোনও গ্রহান্তরে খুঁজে পাবে-
কী নাম দেবে তুমি তার?
আমার ডাক নাম নিয়ে তুমিও
কি একদিন ডেকে উঠবে তাকে?
ধরণী কিংবা অবনী বলে?
নাকি তার বুকের মাঝে কিলবিল
করবে অসংখ্য মনুষ্য ক্লোন?
আয়ু
স্বপ্নগুলি কখনও বড় নাড়া
দিয়ে যায়
আর বাস্তবতা বড় সহজ,
সময় ও বাতাস বুঝি জানে
জীবনের আয়ু!
অথচ হঠাৎ কিছু ঘটে যায়
বিয়োগ ব্যথার মতো সাড়া
দেয়
মৃত ও জীবনের সীমানাগন্ডী
বদ্ধ সূত্রগুলি
তার অবলীলাক্রমে জড়িয়ে থাকে।
ত্রিশূল
জন্মান্তরে তুমি আছ?
বকুল?
আমি কি সেদিনের বালক আর
তুমি ধর্ষিতা!
নারীর উৎফুল্ল দেহযোনী
ছিঁড়ে
আবার উঠে এলে এই অবেলায়-
তখন সায়াহ্ন ছিল, গোধূলির আঁচলে ছিল
তোমার নগ্ন বস্ত্র
আজ সকালে তুমি আবার এসেছ
উঠে
তোমার হাতেই কি তবে রাখা
আজ মারণ ত্রিশূল?
রক্তিম
রক্তিম তোমার ঠোঁট, প্রাণীজ ধর্মে বুঝি রক্ত হতেই হয়,
জীবনের লক্ষণগুলি
ফুটে ওঠে বেঁচে থাকায়।
রক্তোচ্ছ্বাস আনন্দ ধরে
থাকে তোমার শ্রীজাত শরীর
পতন তো কালকথা, আবার উল্লাস দেখো জাগতিক গুপ্তাঘাতে
রক্তাক্ত
লুটিয়ে থাকে বিরান মেয়েটির দেহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন