সকাল সকাল-১
যাদবপুরের দরজায় নক করছি অনীক
অনীক
জোর ছিল
শক্তি ছিল না
টোকা মারায়
একশো গ্রাম রোদ ফুরিয়ে যাবে
ব’লে দরজা খুললো
আড়াইশো গ্রাম হলো চৌকির হার্টস
পায়ার স্পেড
ভোরে এমনকি বাসের শব্দেও
শিশিরমাখা ফাঁকা রাস্তার আড়মোড়া আর একটু ইয়ে
সকাল, সকালের চা, খবরের কাগজ যেন আমাকেই কেন আমাকেই
আর অনীককে কেন অনীককেই
একটু আওয়াজ দিল
ভৈরোঁ মেশানো, রাস্তাবিলীন
মেশানো এক লম্বা চিৎকার
বাস চলে গেছে
বাস চলে গেছে ভেবে...
সকাল সকাল-২
বাড়ি না বাসা? যে দরজা খুললো
তার আগেই সে ভেবেছে ভোর নয় শুধু আলো আর যে খুলে ফেলেছে তার আলো আবার অপেক্ষা...
বাস করি, বাড়ি বানাই
সে ভোট দেয়,
বিউগলে আঁকে স্বপ্ন, সে গাছে জল দেওয়ার জন্য যে পাইপে শীতলপাটির স্মৃতিটুকু রাখে,
রেখে গান গায়, গানের ভেতরে আবার রেখে দেয় কার কে জানে, কে জানে কার স্প্রে, আস্তে
করা
যে খুলে ফেলেছে তখন, আঁকা দেখছে
ভোরদোয়ানো রোদ
ছররা
স্প্রে
কিছু ভাঙা বসে থাকা, কিছু গুঁড়ো
গুঁড়ো দাঁড়ানো
বাসা বাড়ি যেমন
তেমন
সে কি সব দেখেছিল
কীসব যে দেখেছিল সে সকাল সকাল...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন