মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বর্ণালী গুপ্ত

ক্লান্তি

এত আড়মোড়া
 ভাঙ কেন?  
গড়িয়ে যাচ্ছে সকাল -
ক্লান্তি যখন নখের ডগায় ডগায়,
কিছুটা সময় চুরি কর - শেষ প্রহরের
  সাথে
ঘুম নয়, শুধু আলিঙ্গনের
 স্নিগ্ধতায়।

সেদিনও বলেছি আজও বলছি
এত জেদ ভালো নয় -
 
ভালোবাসার সাথে এত আড়িতুড়ি?
দু’বেলা দূরে থাকার ছলে
প্রতি মুহূর্ত গুমরে
  মরি -

আর তুমি অস্থির শুধু শব্দে শব্দে
যতি, ছন্দ ভুলে বারবার ডাক
অন্ত:মিলে -
হয়তো একেই বলে টান
ফিরে ফিরে আসে নিরালায়
নিভৃতে, কশেরুকার গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে।

চুরি কর কিছুটা সময়
আদর নয় শুধু
  আঁচলের ছায়ায়।



এটাই তো অনেক

না-বলা কথারা হয়তো এখনও স্বপ্নে আসে -
কিছু ভাবনারা সেদিনের মতো আঁচড় কাটে
ভুলে যাবার আগে হয়তো স্বপ্নে আসি
 
এটা কি অনেক নয় -
 
আছি আজও অনুপ্রাসের মতো - অন্তঃমিলেও থাকি
 
শব্দে শব্দে মিলিয়েছিলে কিছু গভীর ব্যঞ্জনা,
সুরের মূর্ছনায় তাদের গাঁথি।
আছি তো কিছু ভুলে যাওয়া ছন্দে
মনে কর তোমার ব্যস্ততায় হারানো কক্ষে
এটা কি অনেক নয় -
একটিবারও ছোঁয়ার কথা ভাবিনি, দিইনি কোনো উপহার
শুধু মনের ক্যানভাসে প্রতিদিন এঁকে রাখি ছোটগল্পের সমাহার।

সাঁঝবাতির আলোয় আজও
 দেখি সেই ছায়া - যত্ন করে পরিয়েছি 
ভালো মন্দের টিকা - যেন কারো নজর না লাগে!
এটা কি অনেক নয় -

হয়তো আজও ভুলে যাবার ছলে স্বপ্নে আসি
এটাই তো অনেক –



স্ক্রিপ্ট

বিষ্ণুপুরি সিল্কের হাল্কা গেরুয়া আঁচলে কবিতা লিখবে বলেছিলে। 
শোনো এমন কিছু লেখ, যা পড়ে সবাই
  অবাক হয়ে যায় -
এখন তো রবি ঠাকুরকে
 দুমড়ে মুচড়ে নিঙড়ে সজনেডাঁটার ছিবড়ে করে শেষ করে দিয়েছ। আর জীবনানন্দ পথে ঘাটে, সবাই বলে – ‘অবনী বাড়ি আছ?’  বেণীমাধব, বেণীমাধব করে চিৎকার করছে কেউ কেউ।
উফফ্ আর পারি না!

তাই বলি কী, লেখ এমন কয়েকটি লাইন -
যা স্লোগান
 হয়ে উঠবে মনের ঘরে ঘরে,
যা আন্দোলন
 করে আসবে পথের ধারে ধারে,
যাকে চুমুতে ভরিয়ে দেব আশ মিটিয়ে
 বারে বারে, 
আঁচলের গায়ে বসন্ত কখনও ফুরোবে না, আসবে ফিরে ফিরে,
 
তোমার সমুদ্র নীল পাঞ্জাবি আর গেরুয়া আঁচল ঘিরে
 বন্যা!


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন