শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

শৌনক দত্ত

মহাকাল

বুকের পাথারে
বিষাদের নীল
ধুনির উষ্ণতায় চুম্বনসিক্ত বিভূতি
অনন্ত আগুন জ্বেলেছি এই
কাপালিক কপালে
সূর্য মেখেছি চোখে
বৃন্দাবনের রাই
এসে পোড়াক হৃদয়
নীল অনন্ত আগুনে
ধ্যানাসন জুড়ে আমার নিবেদিত তনু
যজ্ঞের রক্তিম উষ্ণতায়
রাইয়ের মেঘ সফেদ হাওয়ায়
দরজা খুলে যাক আজ
আমি মৃত্যুকে পান করে নিয়েছি
নিদারুণ পিপাসায়
আমার মৃত্যু হবে না
কেবল জন্মের অক্ষরে
মৃত্যুর পাতায় বারংবার
লিখেই যাচ্ছি জীবনের নাম
শিশিরের নির্জনতা...



আমার ক্লান্ত স্বপ্ন

রুদ্র বাতাসে এখন সমুদ্রের গন্ধ
অতিরঞ্জনে মধ্যবয়সী
এখন আর লাশের গন্ধ আসে না
সে এখন চোখের পাতায়
বেদনা আহত নদীর উন্মুখতা থেকে
প্রায় রাতেই ব্যথিত হৃদয় ফেটে যায়
তোমার নিদ্রার শরীর সমুদ্র ভেসে ভেসে
জনাকীর্ণ নগরের পথে
আমার বাহুর সৈকতে তোমার মাথা রাখো
তোমার শব্দই এ যুগের সবচেয়ে বড় অগ্নিদাহন
ভালো আছি ভালো থেকো
সারাদিনের ক্লান্তি স্বপ্নে আমার সঙ্গে
নিমগ্ন মৈনাক!


তোমাকে যা বলিনি... 

তোমাকে বলিনি কোনওদিন
 
ময়ূর তার ব্যভিচারী পেখম মেলে
ছুটে গেছে বনের ভেতর, বলিনি-
চুপিচুপি একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রবেশ করে
 
সদ্য প্রেমিকার তুলির টান
 
প্রেমিক তার নিচ্ছিল তাপ,
 বলিনি-
জন্ম জীবনের মৌল রসায়নে 
পুনরায় জন্ম নেব আমি
 
সুচারু চুম্বনের স্মৃতিমদে
 
এমন কি কখনো বলিনি-
 
আকাশের বুকে হৃদয় ভেঙেছি
 
কুয়াশায় ভেজা কবিতার পাতা
 
তোমার মনের জানালা খুলে দাও
 
আমি আজ বৃষ্টি দেখব।  


ভাঙনের পথে...

পাখির আকাশ ফুরিয়ে এলে
সাপের মাটিতে পুঁতে রাখি বীজ
শীত শীত সময়
ময়ূর পাখনায় মানচিত্র খোঁজে
আর আমি ক্যালেন্ডারে ঝুলে থাকা
নামতার গণিত পাশ কাটিয়ে
টুকে রাখি সুন্দর পেখমের নিচে
অসুন্দর পায়ের ইতিহাস আর
মাথায় গজানো চারা বোধিসত্ত্বের
ধ্যানে একটু একটু করে
বৃক্ষ হয়ে ওঠে কুঠারের ছায়া তলে।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন