সুতপা
বিকেলের স্টেট বাসের পেছনে চাঁদ ওড়ে
সবেমাত্র পিচের গায়ে চটচটে ঘাম, তাতেই
সুতপা সুন্দরী ধান মাঠের মাঝে পুঁতে দেয়
সবুজ পতাকা, নয়ানজুলিতে আবর্জনা নিয়ে
স্বচ্ছ ভারত, লোকটা জাল নিয়ে স্রোত খুঁজছে
শালুক ফুল কখনো কালো হয় না -
শেয়ার করি ধুলোময় আকাশের শ্বাসকষ্ট
বালি পাথরের ক্ষত নিয়ে পথটা ফিরে যায়
পশ্চিমের আলোছায়ায়
চাঁদ ঢেকে যায় মেঘে
লাইন
দিন ও রাতের মাঝে ক্লান্ত ছায়া, নখ আর বাঁকা দৃষ্টি নিয়ে
নিঃসঙ্গ নিঃশ্বাস। আমাদের লাইনটা এঁকেবেঁকে কতদূর পেছনে
কে জানে! আমি স্তব্ধতা শেয়ার করি নদীর সাথে, ওরা নিশ্চয়
নতুন কোনো দ্বীপের খোঁজে সোজা সাপ্টা রোদ্দুরের সারিগান।
মুহূর্তের জন্ম নিয়ে বিচ্ছেদের চাঁদের বাড়িতে দাগ দিয়ে রাখি, রাখি
ভাঙা ইট ভাঙা কাঠ। আমার অধিকারটটুকু মিশে যায় ঘামে -
এগিয়ে যাচ্ছি সেই তোরণের দিকে - যেখানে চুমু নিয়ে বসে আছে
রাক্ষসীর ঠোঁট-
ব্রহ্মত্ব
ক্ষুধার্ত মানুষ আকাশ খেতে চাইলে
পাহাড়ের কোল বেয়ে পলাশ নামে-
শরীরে লুকিয়ে থাকা নুড়িপাথরগুলো
গুঁড়ো হতে হতে পলি নামায়; কুয়াশা ভেদ
করে সূর্যরেখা, ঊষর মাটিতে সোঁদা গন্ধ
ছড়িয়ে পড়তেই - ক্ষতবৃক্ষের বাকলে থেকে
মুছে যায় বারুদের গন্ধ, মেঘলা পথের
দু’ধারে দহনের বিষণ্ণতা
বুক জুড়ে ধু ধু মাঠ,
তারই শ্বাসাঘাতে প্রহর
কাটে, পড়ে থাকে কেশময় জীবাশ্ম জীবন-
কাটে, পড়ে থাকে কেশময় জীবাশ্ম জীবন-
বিরাগ
নদী ভাঙ্গনে বাতাসের কোনো নির্দিষ্ট দিক থাকে না
অঝোর বর্ষার মাঝে দাঁড়িয়ে পাতারা আটকে থাকতে চায়
প্রশাখায়, অস্থিরতার দ্রাঘিমায় সাদা পালকের ভয় -
একটা শঙ্খচিল নিয়ে খেলতে খেলতে জানু পেতে বসেছি
আকন্দ গাছের শিবরাত্রির ভেতর, প্রতিবেশী খোড়োচালে
ভাঙ্গা রাস্তার নির্ভেজাল; এই পথে কেউ আসে না আর -
বাতাসের আত্মরতি আর ক্ষয়িষ্ণু অঙ্গীকারে ফুল ওড়ে
পরাগহীন -
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন