শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৬

রোখশানা রফিক

পর্দাপ্রথা,  কিছু সংশয় ও প্রবাস





(৯)    

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখনও মেয়েদের ওড়না পড়া বা ওড়না পড়ার ধরনের উপর তার শালীনতা বোধের বিচার করা হয়। অনেক বিদেশীনি বান্ধবী আমাকে বিশেষতঃ কর্মক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা করেছে, রোখশানা, এই লম্বা বাড়তি কাপড়টা তুমি কেন সব  পোশাকের সাথে প? আমি তাদের বুঝিয়ে বলেছি, আমাদের দেশে পোশাকের এই  অংশটি না পলে আমাকে উগ্র হিসাবে বিবেচনা করা হবে। তাই পতে পতে অভ্যাস হয়ে গেছে আবার এই ওড়না কিন্তু নারীমহলে সমালোচনারও মাধ্যম। কাউকে পছন্দ না হলেই, ওই মেয়ে ওড়না ছাড়া চলে বা ওড়না শুধু গলায় ঝুলিয়ে রাখে, এই কথা বলে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা নিন্দুক মহিলারা করে থাকেন।

অতি সম্প্রতি আমার নিজেরও এই অভিজ্ঞতা হলো। ডুনেডিনের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র প্রফেসর এবং তাঁ
র স্ত্রী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার থেকে কয়েক বছরের সিনিয়র। ভদ্রমহিলা একই হলে থাকতেন। তাঁর শেষবর্ষে আমি ফার্ষ্ট  ইয়ার। আবছা মনে আছে তাঁকে। ভদ্রলোককে ছাত্রাবস্থায় কোনোদিন দেখেছি বলে মনে  পড়ে না। ডুনেডিনে নতুন করে পরিচয়।

৩/৪ মাস আগে ডুনেডিনে বাংলাদেশ থেকে সদ্য আগত এক পি এইচ ডি ছাত্রীর সাথে আমিও ওই দম্পতির বাসায় ডিনারে আমন্ত্রিত ছিলাম একদিন। খাওয়া শেষে গল্পগুজব চলাকালে জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্রাবস্থায় পরস্পরের কি
কি স্মৃতি মনে আছে,  এই প্রসঙ্গ এলো। আমি বললাম, আপনি একটা খয়েরী-বাদামী রঙের সোয়েটারের পকেটে হাত ঢুকিয়ে হাঁটতেন, আমার মনে আছেতিনি বললেন, তুমি সবসময় ওড়না ছাড়া চলতে, তা আমারও মনে আছেসেই ভদ্রমহিলার স্বামী এবং নবাগত ছাত্রীটি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ডুনেডিনের বাসায় কাজের লোক নেই, পাওয়া গেলেও তা অত্যন্ত ব্যয় বহুল। বাসার কাজ সেরে আমি কিছুটা লেখালেখি
নন একাডেমিক পড়াশোনা নিয়ে থাকি বিধায়, আমার সংসারের কাজকর্ম আমার স্বামীই করেন বলে তিনি মোটামুটি ডুনেডিনবাসী বাঙালি কমিউনিটিতে ধারণা দেয়ার চেষ্টা বহুদিন থেকে করে আসছেন। যদিও  কাজের সুবাদে আমার স্বামীকে দীর্ঘদিন বিদেশে থাকতে হয়। এখানে থাকলেও সকাল  থেকে রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে হয়। বাসায় ফিরেও পি সি-র সামনেই  কাটান। আমি বিবাদ বিসম্বাদ এড়িয়ে চলতে চাই বলে এসব শুনেও চুপ করে থাকি।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ওড়না ছাড়া চলতাম, আমার সামনে বসে
সেই ভদ্রমহিলার  এই মিথ্যাচারের সাবলীলতা আমাকে সত্যিই বিস্মিত করেছেসমসাময়িক জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্র-ছাত্রীগ, এমনকি আমার স্বামীও তখন সেখানে অধ্যয়নরত  ছিলেন বলে, সহজেই অনুমান করতে পারবেন এই মিথ্যাচারের অসারতা, চমৎকারিত্ব ও অভিনবতা।

আরেকটি বিষয় না বললেই নয়। সেটি হলো রিক্সার চাকা এবং ওড়না। মাঝে মাঝে কিছু সত্যিকারের ভদ্রলোক রাস্তাঘাটে কোনো মেয়ের ওড়না চাকায় পেঁচিয়ে যাচ্ছে বলে ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে সতর্ক করলেও, এটা বখাটেদেরও একটা কৌশল রাস্তাঘাটে মেয়েদের বিব্রত করার জন্য বলার। আবার আরেকটি প্রবণতা উপমহাদেশীয় সমাজে বিদ্যমান। সেটি হলো সেলিব্রেটি নারীদের হিজাবের আড়ালে চলাফেরা। এর সাথে নিরাপত্তা জনিত কারণ থাকতেই পারে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপ অবাধে সম্পন্ন করার জন্যও অনেক সময় হিজাবের আড়াল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর
ফলে কে যে প্রকৃত পর্দানশীন আর কে যে দুষ্কৃতকারী, পার্থক্য করা দুরূহ হয়ে পড়ে।




 
(১০)   

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে পহেলা বৈশাখ সাড়ম্বরে উদযাপনের পক্ষে ও বিপক্ষে প্রচুর মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। যাঁরা নববর্ষ ঘটা করে পালনের পক্ষে, তাঁরা এর  ঐতিহ্য ও বাঙালি গ্রামীন সংস্কৃতির বহু প্রাচীন ধারাবাহিকতার উপর আলোকপাত করেছেন। আবার নববর্ষ উদযাপনের বিপক্ষে যাঁরা মতামত প্রদান করছেন, তাঁরা  অধিকাংশই ইসলামিক ঐতিহ্যের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাঁরা মূলতঃ ভাবছেন, দুই  ঈদ হচ্ছে মুসলমানদের জন্য প্রযোজ্য নন্দোৎসবের নির্ধারিত সময়। এছাড়াও অন্যান্য  ইসলামিক গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করা যেতে পারে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত বিভিন্ন পশুপাখির বর্ণীল কাগজের প্ল্যাকার্ড ধরনের প্রতিকৃতি সমূহকে তাঁরা হিন্দু সংস্কৃতির উৎস বা অংশ বলে চিহ্নিত করে এর প্রতি  বিরূপ মনোভাব পোষরেনযেমন পেঁচা লক্ষ্মী দেবীর বাহন, হাতি গণেশের মূর্তির অংশ, ময়ূর কার্তিকের বাহন ইত্যাদি।

এবার আসি সংশ্লিষ্ট কিছু প্রশ্নের উত্তরের অনুসন্ধানে। এই পশুপাখিগুলোকে যে ধর্মে যেভাবেই ব্যবহার করা হোক না কেন, এগুলো কি স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি নয়? প্রবাদ আছে, জীবে দয়া করে যেই জনসেই জন সেবিছে ঈশ্বর তাহলে তাঁদের প্রতিকৃতির প্রতি এভাবে ঘৃণা পোষণ করা কি মানবিক? তার চেয়ে বড় কথা, মঙ্গল শোভাযাত্রায় কি এসব প্রতিকৃতি পূজা করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়? এর উত্তর খুজে পেলেই সমস্যার গোড়া অনুধাবন করতে পারবেন সবাই।

কেউই পূজা বা ইবাদত করেন না বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রায় এই প্রতিকৃতিগুলোর। কেবল মাত্র অনুষ্ঠানটিকে বর্ণীল করে তুলতেই এগুলোর শৈল্পিক উপস্থাপন করা হয় মাত্র। কোনো ধর্মীয় অনুভূতিকে উঁচুতে তুলে ধরা বা কোনো অবমাননা করার জন্য নয়। এত সহজ একটা বিষয়ে বহু মানুযের যুক্তিবোধ গুলিয়ে যায়!

এগুলোর পরিবর্তে শিল্পীরা কোনো একবার বর্ণীল রবী হরফে ক্যালিগ্রাফি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিলে তখন রক্ষণশীলগ কি নিয়ে প্রতিবাদ করবেন? যেমন যত্রতত্র মূত্রত্যাগ করা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে রবী লেখা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল জাপান, কোরিয়া এরকম অনেক দেশেই এধরনের অনুষ্ঠানে ক্যালিগ্রাফি আঁকা প্ল্যাকার্ড বহন করা হয়। তাতে কিছু ক্ষতিবৃদ্ধি হয় না।  

আরো লক্ষ্যণীয়, যাঁরা এসব গোঁড়ামির ধারক ও বাহক, তাঁরা কিন্তু মনে করে রবী  হিজরী নববর্ষ পালন করতেও ভুলে যান। র কিছু না হোক, কিছু দোয়া  মাহফিলও তো আয়োজন করতে পারেন সেদিন তাঁরা! মুক্তমনারা সেই উৎসবে  সানন্দেই যোগ দেবেন বলেই আমার ধারণা। আসলে কিছু কূপমণ্ডূক দুনিয়াটাকেই আখেরাত বানিয়ে ফেলতে চান মনে হয়!

পৃথিবীর যে কোনো সংস্কৃতিতেই তাদের ঐতিহ্যবাহী নববর্ষ পালন নিয়ে মতভেদ নেই। বরং এটি জাতীয়তাবোধ ও দেশপ্রেমের পরিচয় বহন করে। কেবলমাত্র বাংলাদেশেই অযথা কিছু বিতর্কের ধুয়া তুলে যেন বাংলাকে আফগানিস্তান বা সিরিয়া বানানোর পায়তারা করা হচ্ছে!

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে একটি দেশের ও জাতির যথাযথ পরিচয়ে রাষ্ট্র গঠনের জন্য দুটি উপাদানের উল্লেখ করা হয় - State building & nation building. ষ্টেট বিল্ডিং বলতে রাষ্ট্রের ভৌগলিক সীমা নির্ধারণ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সংবিধান, বহিঃশত্রুর হাত থেকে দেশকে সুরক্ষা করা, এসব বোঝায়। আর নেশন বিল্ডিং (nation building) হচ্ছে ভাষা, সংস্কৃতি, দেশপ্রেম, ঐতিহ্যের সাথে একাত্মতা বোধ ইত্যাদির  সমন্বয়ে গঠিত জাতীয়তা বোধকাজেই বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে  উপেক্ষা করে কারও নিজেকে দেশপ্রেমিক বাঙালিবাংলাদেশী ভাবার কোনো অবকাশ নেই।

এবার আসি, পহেলা বৈশাখের ভিড়ে নারী অবমাননা প্রসঙ্গে। অবমাননার শিকার  নারীদের পোশাক র যাই থাক, অশ্লীল ছিল না সেখানে। তাহলে কেন তাদের উপর যৌন নিপীড়ন? সুন এর উৎস তলিয়ে দেখি। বিশেষ ভাবে টার্গেট করে কোনো নারীকে ঘিরে ধরে বহুপুরুষ কর্তৃক যৌন নিপীড়নের ঘটনার উদ্ভব মূলতঃ মধ্যপ্রাচ্যে।লজাজিরা, ফক্স, বিবিসি, সি এন এন-এর মতো বিভিন্ন ন্তর্জাতিক সংবাদ  মাধ্যমের পাশ্চাত্য পোশাক পরিহিতা নারী সাংবাদিকগ যাতে মধ্যপ্রাচ্যে তাঁদের কাজ  চালিয়ে যেতে না পারেন, সেই উদ্দেশ্যে নারী অবমাননার এই বিশেষ পদ্ধতির উদ্ভাবন করা হয় সেখানে। একজন ভিকটিম নারীকে কয়েক স্তরে দুষ্কৃতিকারীরা ঘিরে ধরে  এই ঘটনা সমূহে, যাতে সেই স্তরগুলো ভেদ করে কোনো সহৃদয় ব্যক্তি মেয়েটিকে উদ্ধারের তাৎক্ষণিক প্রচেষ্টা চালাতে না পারেন। মধ্যপ্রাচ্যে এই স্তরগুলোর সবচেয়ে বারের স্তরে থাকে মোটর সাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে চক্কর দিতে থাকা কিছু পুরুষ, যাতে নির্বিঘ্নে অপরাধ সংঘটিত করা যায়। কাজেই, এই ধরনের অপরাধের জন্য বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসব পালন দায়ী নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যীয় মধ্যযুগীয় ধ্যানধারণা এবং মানসিকতাই দায়ী। এই বিশেষ ধরনের মানসিকতা পদ্ধতি বিশেষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

আবার লক্ষ্য করলে দেখতে পাই, সম্প্রতি পালিত ১৪২৩ বাংলা অব্দের নববর্ষে শেখ হাসিনা সরকার বিশেষ বোনাস বা উৎসব ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করেছেন। অতি রক্ষণশীলদের উদ্দেশ্যে মার প্রশ্নএই বাড়তি অর্থের যোগান তো ছড়িয়ে পড়তে আরো ইন্ধন যোগাবে! তাহলে আপনারা সম্মিলিত ভাবে প্রতিবাদে মুখর হয়ে বর্জন করলেন না কেন এই বোনাস? নাকি নগদ অর্থ পনাদের চেতনার চর্ম চক্ষুতে নেকাব পড়িয়ে দিল?






(১১)  


নিউজিল্যান্ড থেকে প্রতি বছরই ডিসেম্বরে মাস খানেকের জন্য দেশে যাওয়া হয় আমার। প্রতিবারই দেশে কড়া হিজাবী কিছু নিকটাত্মীয়াকে ট্রিট হিসাবে বসুন্ধরা  সিটি ফুডকোর্টে আপ্যায়ন শেষে মুভিক থিয়েটারে সিনেমা দেখানোটা প্রায় নিয়মে দাঁড়িয়ে গেছে। একবার নায়িকা মৌসুমী ওভিনীত সিনেমা দেখে বাসায় ফিরে হিজাবী আত্মীয়রা বলতে লাগলেন, “কী জড়াজড়ির সিন’! আমরা তো চোখ বন্ধ করে ছিলাম আমার গোবরভর্তি মাথায় কিছুতেই ঢুকলো না, যে জিনিস দেখে চোখ  বন্ধ করে রাখতে হয়, ঢাকা শহরের বিখ্যাত জ্যাম পার হয়ে সাজগোজ প্রস্তুতি নিয়ে সে জিনিস দেখতে যাবার প্রয়োজনটা কী?

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায়, শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে ডিজাইন পড়ার সময় একজন অত্যন্ত সুন্দরী ছাত্রীকে দেখতাম, পরিবারের চাপে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার সময় বাসা থেকে বোরকা পরে এসে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছানোর পরই তা খুলে ফেলে আধুনিক পোশাকে ক্লাসে ঘোরাফেরা করে, দিনশেষে আবার বাড়ি ফিরে যাবার সময়  বোরকা পড়ে ফিরে যেতে। তবে হতে পারে, এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা!

আরো একটি চোখে দেখা যায় না অথচ অনুধাবন করা যায়, এমন বিষয় লক্ষ্য করেছি মাথায় কোনোরকমে একটা স্কার্ফ জড়াতে পারলেই মহিলা মহলে বেশ কিছু  নারী এমন উন্নাসিকতা দেখান যে, তাঁরা ব্যক্তিজীবনে ভদ্রতার বিশেষ কোনো স্তরে  উঠে গেছেন, অথবা জান্নাতুল ফেরদৌস-এর দরজা হাট করে খোলা রাখা হয়েছে, কখন তাঁদের মর্জি হবে সেখানে পা ফেলার। কিন্তু ভদ্রতা শুধু চুল ঢাকায় নয়, বরং শিক্ষাদীক্ষা, মার্জিত আচরণ এসবের উপরও নির্ভর করে।

একজন খোলা চুলের বাংলাদেশী মহিলা হয়ে আমি লক্ষ্য না করে পারিনি, অনেক চুল না ঢাকা মুসলিম মহিলা পুরুষদের সঙ্গে সহজ সাবলীল ভঙ্গীতে কথা বলছেন। আবার এমনও দেখেছি, মাথায় স্কার্ফ পড়া অনেক মহিলা পুরুষদের সামনে পড়লে এমন ব্রীড়াবনতা ভঙ্গী করেন যে, বরং সেটাই পুরুষ মনে অধিক আগ্রহ জাগরূক করে

ডুনেডিনে চুলকাটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ৩০ থেকে ৬০ ডলার মিনিমাম খরচ এতে। শ্রীলঙ্কান এক মহিলা ফাতেমা মাত্র ১০ ডলারে চুল কাটেন তাঁর স্যালুনে। তাই নারী-পুরুষ অনেকের কাছেই তাঁর স্যালুন জনপ্রিয়। এক শুশ্রুমন্ডিত বাঙালি মুসলমানভাই বলেছেন শুনেছি, বিধর্মী কোনো মহিলার কাছে মুসলিম পুরুষ তো দূরের কথা, কোনো মুসলিম মহিলা চুল কাটতে গেলেও পর্দা লঙ্ঘন করা হয়। সত্যিই সেলুকাস, কী বিচিত্র উপস্থাপনা ইসলামী শরিয়তের!  

তবে একেবারে উপসংহারে বলতে চাই, ভুলে না যাওয়াই ভালো, রোজ হাশরের বিচার শেষে প্রথম চল্লিশ কাতার মুসল্লি তথা ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী বা অপপ্রয়োগকারী গনই সর্বপ্রথম জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপিত হবেন বলে উল্লেখ আছে। তাই জীবনাচরণে ধর্মের যথাযথ প্রয়োগ করা উচিত। অন্ততঃ অপব্যাখ্যা করা তো উচিতই নয় আধখেঁচড়া নয়, মানলে নিয়ম পুরোপুরি মানুন, না মানলে অন্ততঃ ভড়ং করতে যাবেন না, প্লিজ!






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন