শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৬

ফারহানা রহমান

লা ডলসি ভিটা :  জগৎ জীবনের এক মোহিত দোলার ছবি



লা ডলসি ভিটা ছবিটিকে যদি কেউ শুধু চোখের দেখা দিয়ে দেখে থাকে, তবে  আসলে ছবিটির কিছুই দেখা বা বোঝা সম্ভব হয়নি বলেই ধরে নিতে হবেএটি ফেদেরিকো ফেলেনির এমনই এক মহৎ উদ্যোগ, যাকে প্রকৃতপক্ষেই আপনাকে তৃতীয় নয়ন দিয়েই অনুধাবন করতে হবে। কারণ এটি শুধুই একটি সিনেমা নয়, এটি এক বিরাট সভ্যতার অনুলিখন। এতে বিধৃত হয়েছে এমনই এক বিশাল সভ্যতার বহু বিস্তৃত কর্মকাণ্ড এবং তার পর্যবসিত ফলশ্রুতি যা থেকে আপনি অনুধাবন করবেন এ যেন টি এস এলিয়েটের দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ডএর সচিত্র এক বাস্তবরূপ। ছবিটি মূলত এক স্যাটায়ারধর্মী ছবি, যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরমাত্মায় অবিশ্বাসী এমন এক  জনগোষ্ঠীকে দেখানো হয়েছে, যাদের জীবনে অর্বাচীন জগতের ভাবনার দোলাচলের সাথে ব্রক্ষ্মান্ড ভাবনা মিলেমিশে গেছে। পশ্চিম সভ্যতার মূলে যে খৃস্টান আদিম পাপের উপলব্ধি, যা থেকে সমস্ত মধ্যযুগীয় ও রেনেসাঁসের শিল্পের উৎপত্তি এবং  রোমান ক্যাথলিক চার্চের যে প্রাচুর্যপূর্ণ রূপকল্প – তাই হচ্ছে এই জগত সভ্যতার এক মহা ইঙ্গিতময় প্রকাশআর এই ছবির প্রতিটি চিত্রকল্প তার থেকেই উঠে এসেছে। 

ছবিটি শুরু হয় দানরত যীশু খ্রিস্টের দুহাত প্রসারিত করা বিশাল এক মূর্তির টিকি  ধরে ঝুলিয়ে হেলিকপ্টারে করে চিরন্তন নগরী সেন্ট পলস-এ নিয়ে যাওয়া দিয়েহেলিকপ্টারের পিছনে পিছনে আরেকটি হেলিকপ্টারে করে খ্রিস্টের মূর্তিকে অনুসরণ করে চলে একটি ট্যাবলয়েড বা আধাফ্যাসিস্ট কাগজের গসিপ কলামিস্ট মার্চেল্লো এবং  তাঁর সহকারী ফটোগ্রাফার পাপারাজ্জো এখান থেকে তাঁরা তাঁদের ট্যাবলয়েড পেপারের কভার স্টোরি করবে যেন যীশুর পুনর্জীবনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার মর্তে ফিরে আসার কোনো কল্পনা! ক্যাথলিকদের বিশ্বাস, খ্রিস্টের দুহাত প্রসারিত করা এই মূর্তি  যে জায়গার উপর দিয়ে যাবে সেখানেই দয়া ও অনুগ্রহ বর্ষিত হবে। এদিকে হেলিকপ্টারে বসে মার্চেল্লো দেখতে পা হাইরাইজ বিল্ডিংএর ছাদে সূর্যস্নানরত বিকিনি-পরিহিতা হাস্যোজ্জ্বল কিছু রমণীদেরএই দৃশ্যটি দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বোধিসত্ত্বের  আকুলতার আবহে ক্রন্দনরত সাংগীতিক অনুরণন ফেলে এমন এক আশার সঞ্চার করা  হয় যা মূলত ধর্মের শক্ত গেঁড়োটি আলগা করে দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৫০ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত  ফুলেফেঁপে ওঠা ইতালির অর্থনীতিতে যে প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছিল, তাকে ইতালিয়ান ইকনোমিক মিরাকেল বলা হয়। ইতালীয়দের সমাজ ও  সাংস্কৃতিক জীবনে এই মিরাকেল এক সাঙ্ঘাতিক পরিবর্তন এনে দেয়। ইতালির বিস্তৃত গ্রাম্যসমাজ পরিবর্তিত রূপ নেয় সাংস্কৃতিক আধুনিক নগর সভ্যতায় যেখানে জীবন  হয়ে ওঠে ফাঁপা বেলুনের মতো। নগরজীবনের শূন্যতায় ভরা রাত আর একাকীত্বে ভরা ভোরগুলো মানুষকে করে তোলে বিষণ্ণ, আর তাই তারা প্রতিনিয়ত সুখ নামক  অচিন পাখির পিছনে ধেয়ে বেড়ায়। মৃত্যুর দরজায় দাঁড়ানো সে সভ্যতার আজকের যে অবচেতন জীবনচেতনা, অর্থাৎ দুহাজার বছরের যে ধর্মচক্রের আবর্তন – এই  গোটা ব্যাপারটির একেবারে বুকে গিয়ে লেগেছে এ ছবির সমস্ত দ্যোতনা। এমন তীব্রভাবে সত্য ধারণ, একেবারে লাগসই রূপকল্প দিয়ে সেই সত্যের উদঘাটন, অথচ সহজভাবে স্বচ্ছন্দগতি চলচ্চিত্রের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া – এর পিছনে যে প্রাণের স্পন্দন, তা সত্যি অতুলনীয়। যে শিক্ষিত মনের পরিচয় আছে এ ছবিতে তা অত্যন্ত  দরদী ও মেজাজী। এ ছবির প্রতিটি চরিত্রের ভিতরের যে অবস্থা তাতে কোনো কুয়াশা নেইএখানে তীক্ষ্ণভাবে ফুটে উঠেছে মানব চরিত্রের ক্ষুদ্রতম ও সূক্ষতম  রূপটি। ছবির শেষের দিকের দৃশ্যে প্যাট্রিসিয়ার ছন্দ সংগীতের সাথে যে স্ট্রিপটিজ’এর  দৃশ্য এবং তার শেষে বোকা মেয়েটির পিঠে মার্চেল্লোর সওয়ার হওয়ার যে বিচিত্র দৃশ্য এবং একই সাথে বালিশ ফাটিয়ে পালক তুলো ওড়ানো - এই ছবির বীভৎসতাকে একই সুতোয় টেনে ধরার যে প্রয়াস ফেলেনি দেখিয়েছেন, তা অবিশ্বাস্য ও  অবিস্মরণীয় করে তুলেছে লা ডলসি ভিটা ছবিটিকে। তবে একনাগাড়ে বসে ছবির  এই দৃশ্য পর্যন্ত দেখা অসম্ভব হয়ে পড়ে দর্শকের পক্ষে, তাই ছবিটি দেখতে হবে বারবার আর তাতেই এর সমস্ত নক্সা উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে চোখের সামনে এবং   অভিভূত করবে বোদ্ধা দর্শককে। 

ছবিটির নায়ক ট্যাবলয়েড পত্রিকার গসিপ কলামিস্ট মার্চেল্লো প্রতিনিয়ত উৎসুক হয়ে জীবনের সুখের সন্ধান করে চলেছে, যে তার পত্রিকার জন্য খুঁজে বেড়ায় অভিজাত   ব্যক্তিদের কলঙ্কের সংবাদ খবরের আশায় সে ঘুরে বেড়ায় নাইটক্লাবে, হাসপাতালের পারকিং লটে বা পতিতালয়ে। এভাবেই কোনো একদিন তার সাথে দেখা হয়ে যায় সুখী ও বুদ্ধিমান পুরুষ স্টাইনারের, যাকে সে তার জীবনের হিরো মনে করে।  মার্চেল্লো ভবিষ্যতে খুব বড় কিছু করার স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকে এদিকে তার ঘরে আছে আত্মহত্যাপ্রবণ এক প্রেয়সী, যার প্রতি সে অবিশ্বাসী, অথচ প্রতিনিয়ত তার প্রেয়সীকে মিথ্যে ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে।  

ছবিটির প্রথম দিকের দৃশ্যতে আমরা দেখতে পাই একটি ব্যায়বহুল নাইটক্লাবে  মার্চেল্লোর সাথে ঘটনাচক্রে সুন্দরী ধনাঢ্য রমণী ম্যাডালিনার পরিচয় হয়, যে রোমের জীবনে বীতশ্রদ্ধ হয়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উত্তেজনা খুঁজে বেড়াচ্ছেমার্চেল্লো তাকে নিয়ে এক পতিতার বাসার বেডরুমে রাত কাটিয়ে ভোরবেলায় নিজ গৃহে ফিরে এসে দেখে তার  প্রেমিকা এম্মা অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এম্মাকে যখন এমারজেন্সি রুমে নেওয়া হয়েছে সেসময় মার্চেল্লোকে দেখা যায়  ম্যাডালিনাকে ফোন করার চেষ্টা করতে, যে কিছুক্ষণ আগেই তার মৃত্যু পথযাত্রী  প্রেমিকাকে অনন্ত প্রেমের আশ্বাস শোনাচ্ছিল।

এরপর বিখ্যাত মুভিস্টার সিল্ভিয়া (অ্যানিটা একবারগ) রোমে আসার খবরকে কভার করার জন্য মার্চেল্লো তার সাথে সাথে সেইন্ট পিটারস দুর্গের উচ্চতম সিঁড়িতে উঠে যায়, নাইট ক্লাবে যায়, ভোররাত পর্যন্ত তার সাথে ঘুরে ঘুরে একসময় ট্রেভি ঝর্ণাতে দুজনে হাত ধরে ভিজতে থাকে। অপরূপা সুন্দরী রমণীর তালে তাল মিলিয়ে বুঝতে পারে, এ রমণী এমনই সব রমণীদের এক উদাহরণ যাদের দূর থেকে দেখা  যায় কিন্তু তারা সবসময়ই  ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। তাই প্রতি মুহূর্তে উদ্দেশ্যহীনভাবে সুখ খুঁজে চলা আর প্রত্যেককে খুশী করতে চাওয়া অথচ কোনো কিছুর সাথে তাল রাখতে না পারার ব্যথা বয়ে বেড়ায় ছবির নায়ক মার্চেল্লোতারই ফলস্বরূপ পরবর্তীতে বৃদ্ধ বাবাকে অল্পবয়স্ক সুন্দরী ফ্রেঞ্চ ড্যান্সারের সাথে অভিসারে পাঠানো এবং বাবার মাইল্ড হার্ট এটাক হয়ে প্রায় মরতে বসার মতো অবস্থার অবতারণা হয়।
  
পরবর্তী এক সন্ধ্যায় দেখতে পাই, মার্চেল্লো ও এম্মা শিল্পমনা ও বুদ্ধিজীবী স্টাইনারের শিল্পমণ্ডিত বিলাসবহুল এপার্টমেন্টে একটি পার্টিতে যোগ দিতে, যেখানে তাদের সাথে  পরিচয় হয় স্টাইনারের আদর্শ সুন্দরী স্ত্রী ও তার দুই ফুটফুটে সুন্দর বাচ্চার সাথে। একই সাথে একদল শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীর সাথেও পরিচয় হয়, যারা তাদের কবিতা আবৃত্তি করে শোনায়, গীটার বাজিয়ে গান গেয়ে শোনায় এবং বিভিন্ন দর্শন শাস্ত্রের উপর জ্ঞান দান করেএদের মধ্যে একজন নারী তাকে বলে যে, বিয়ে করে কোনো  একজন নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গী হওয়া খুব বোকামির কাজ। এদিকে এক ফাঁকে স্টাইনার  মার্চেল্লোকে বলে যে, এই বস্তুবাদী ভালোবাসাহীন জীবনে সে তার বাচ্চাদের ব্যাপারে  খুব নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, ফলে সে আরও বেশি করে আধ্যাত্মিক উপাসনায় মগ্ন হতে চায়। 


এর পরের দৃশ্যে আমরা দেখতে পাই, মার্চেল্লো রোমের বাইরে একটি ক্যাসেলে বন্ধুদের সাথে পার্টি করতে যায় যেখানে আবারও সুন্দরী ধনাঢ্য নারী ম্যাডালিনার সাথে দেখা হয় এবং ম্যাডালিনা তাকে অন্য একটি রুমে বসিয়ে ইকো চেম্বারের মাধ্যমে তার ভালোবাসার কথা বলে এবং মার্চেল্লোকে বিয়ে করার জন্য প্রপোজ করে। এই সময়ই  অন্যদিক থেকে আরেকজন এসে ম্যাডালিনার সাথে অন্তরঙ্গ হতে চাইলে সে মার্চেল্লোর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে ও সেই লোকের সাথে ভিড়ে যায়সেই রাতটি মার্চেল্লো অন্য একজন অ্যামেরিকান অভিনেত্রীর সাথে কাটিয়ে দেয়।
 
পরবর্তীতে এম্মাকে নিয়ে মার্চেল্লো গাড়ি ড্রাইভিঙে গেলে তাদের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, ফলে মার্চেল্লো এম্মাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে চলে যায় এবং পরের দিন ভোরে এসে আবার তাকে রাস্তা থেকে তুলে নেয়। এদিকে এম্মার সাথে শায়িত অবস্থায় একটি ফোন পেয়ে সে স্টাইনারের বাসায় গিয়ে দেখে যে, স্টাইনার তার দুই বাচ্চাকে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করেছেএই ঘটনার পর মার্চেল্লোর জীবন থেকে সমস্ত বিশ্বাস খসে পড়ে।

ছবিটি দেখে অনেকেই বলেছেন যে, এতে একটা চালাকি আছে অর্থাৎ যৌন  প্রগলভতাকে এ ছবিতে ব্যবসাদারি কাজে লাগানো হয়েছে। তা না হলে মিরাকল দৃশ্যটি কেন দেখানো হলো না? অথচ এই অধ্যায়টি বোধহয় প্রাণস্বরূপ ছিল এ ছবির। অবিশ্বাসী সেই ধর্মযাজক, সেই বৃষ্টির মধ্যে নায়কের সহবাসিনী মেয়েটির অঘটনে বিশ্বাস, আর সেই ধূর্ততায় ভর্তি চাষির বাচ্চাদুটো – এরা একেবারেই সব কিছুর  উল্টোদিক তুলে ধরেছে যা দেখে মনে হয়েছে ছবিটি ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেনি।  কিন্তু ব্যবসাদারি মতলবকে যৌন ক্ষুধার দুর্দম এবং যথেচ্ছ অভিযান এ ছবিতে মোটেই দেখানো হয়নি। প্রত্যেকটি মানুষের একটা বিশেষ আবেগ খোঁজার জন্য পর্যবসিত হয়ে যাওয়া বা কোনো একটি দুর্বলতাকে বুকে ধরার যে উপসর্গ বা লক্ষ,  ফেলিনি শুধু তাই বোঝাতে চেয়েছেন, সেই অবস্থাকেই তুলে ধরতে চেয়েছেন। আশ্বিন মাসের কুকুর-কুকুরীর বিহারের সঙ্গেই এই কর্মকাণ্ডের মিল দেখাতে চেয়েছেন শুধুআর কিছুই নয়।  

ছবির নায়ক মার্চেল্লো যার দ্বিধাজড়িত অনিশ্চয়তাপূর্ণ প্রতিটি পদক্ষেপের মাঝে দেখতে পাই আমাদের জীবনের দিক নির্দেশনাআর তাই আমরাও তার মতোই দেবদূতকে দূর থেকে দেখি কিন্তু কথা শুনতে পাই না। এবং আবারো যথারীতি চলে যাই রাত্রির জীবদের সাথে নিজ খোঁয়াড়ে। আর খুব ভালো করেই জানি যে এই পশ্চিমী সভ্যতার ক্ষয়রোগপূর্ণ প্রভাব আমাদের দেশেও আছে, আমাদের মনেও এর অন্ধকার ছায়া পড়েছে। এবং সবাই খুব ভালো করেই জানি যে এর বিস্তার অনেক গভীরে।

ফেলিনি এই অর্বাচীন জগতের সঙ্গে ব্রক্ষ্মান্ডের ভাবনাকে যে ভাবে মিলিয়েছেন এবং তার দোলায় দোলায় যে ছন্দ সৃষ্টি করেছেন, তা সত্যি বিস্ময়ক দেখে অভিভূত হতে হয়। সেই গভীর দুঃখী বাঁশি বাজিয়ে যে তার বাঁশির সুরের মোহনায় বেলুনদের ডেকে নিয়ে চলে যায়। বা সুসুপ্তমগ্ন পাড়াতে অ্যানিটা একবারগ কুকুরের ডাকের সাথে তাল মিলিয়ে কুকুরের মতো করে ডাক দেয়। অথবা ঝর্ণার ধারাস্নানে শিশুর মতো খুশী হয়ে ওঠেআর স্টাইনারের স্ত্রী যখন চরম দুসংবাদ শোনার আগে নিষ্পাপ হরিণীর মতো চেয়ে থাকে। অথবা ভোররাতে মার্চেল্লো ফিরে আসে গাড়ি নিয়ে এম্মাকে তুলে নিতে। আহা! মানব-জীবনের আর জগৎ-জীবনের কী বিচিত্র দোলা! ভাবাই যায় না! এসবই অনুভূতির ব্যাপার। কাউকে বলে বোঝানো অসম্ভব। ছবিটিতে রয়েছে  গোটা সভ্যতার ধারার এক বিচিত্র কল্পরূপ।

এত গভীর, এত পাণ্ডিত্যপূর্ণ, এত দরদী ছবি সত্যি আর হয় না!    



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন