রসাতল গুপ্তধনের চেয়েও দামী
আমার কাছে
যখন হাত ছেড়ে চলে যায় রসাতল
ওপরে ওপরে পরে থাকা, খাদের
পা বেয়ে বেয়ে
নামতে নামতে, পৌঁছে যাই নতুন কোনো রসাতলে...
এখনও মনে মনে কথা বলে এমন
অনেক
কাঠপুতুলের সামনে দাঁড়িয়ে
আছে সুর
যাবতীয় গাছপালা নিয়ে যদি
সরে যায় পৃথিবী
তবে কি সত্যি সত্যিই সরে
যাবে দুপর?
ছায়া যত সরে যায় পায়ের নিচে থেকে
পা যত সরে যায় ছায়ার নিচে থেকে
নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে কম
হতাশ ও দুখী লাগে তখন...
গাছের কাছে না গিয়েই কত
আশ্রয় পেয়েছি
মানুষের কাছে না গিয়ে
পেয়েছি মনুষ্যত্ব
হাওয়ার কাছে না গিয়েই
পেয়েছি পিছুটান
জলের কাছে না গিয়ে পেয়েছি
গভীরতা,
যখন এত কিছুই না করে পেয়ে
যেতে পারি অনায়াসে
তাহালে কেন শুধু শুধু ভালো
হবার চেষ্টা করি!
বরং আরও আরও রসাতল আনো
জীবনে
এমন বিপদ আনো যাতে ঘুরে
দাঁড়াতে না পারি
এমন এমন পাথর দাও আমায়
যাতে কোনোমতেই না ফেরা যায় বাড়ি...
হস্তরেখায় যাদের তিল আছে
আমায় শব্দ থেকে দূরে সরিয়ে
রাখলে
শব্দ ভুল পথ চিনে ছুঁয়ে আসে
আমার কাঁধ
সে ছোঁয়া বন্ধুত্বের স্নেহ
বিতাড়িত, সময়ে সময়ে এখনও অপবাদের,
কণ্ঠ ধরে নড়ে যায় সহস্র
তারায় ঢাকা জলের শেষ রাতের,
সকাল হয়ে ওঠা...
আমরা যারা ডুবতে ভয় পাই,
তাও ইচ্ছে থাকে কখনও হারিয়ে
আসা একশোটা
বছরের মতোই, যেন হারিয়ে যেতে পারি,
সরু আলপথ ধরে,
যেন কোথাও কেউ নেই আর
আমাদের
যেন কোথাও কেউ ছিল না কখনও
শীত,
যেন কোথাও সবাই হারিয়ে
গেছে...
তবু দেখ আমি আজও উপস্থিত
পৃথিবীকে চাপ দিয়ে দাঁড়িয়ে
আছি
প্রয়োজন পড়লেও নিয়ে যাব না কোনো পাপ,
শুধু বিদ্রুপ নিয়ে যেতে
পারি
নিয়ে যেতে পারি অভিশপ্ত শেষ
মানুষটির কপাল
এখনও ভাগ্য পড়া শুরু করিনি
শব্দ
তোমায় না পেলে সেও পড়তে হবে
কাল।
দুটো কবিতার ভিন্ন পথে এলেও গন্তব্য মিলেছে। হতাশা, বিষাদ কবিতা দুটিতে জড়িয়ে আছে। ভালো লাগলো...
উত্তরমুছুনদুটো কবিতার ভিন্ন পথে এলেও গন্তব্য মিলেছে। হতাশা, বিষাদ কবিতা দুটিতে জড়িয়ে আছে। ভালো লাগলো...
উত্তরমুছুনকবিতা দুটি পাঠ করলাম। ভাল লাগল। অনুভূতিকে ছুয়ে গেল গভীরভাবে। শুভেচ্ছা কবিকে...
উত্তরমুছুন