প্রতীক্ষা
অনেক কথা বলার ছিল
শোনার ছিল তার থেকেও বেশি
শুনতেই তো চাই
ঠিক যে সুরে বাঁশরীর সুরে নাচে
কালকেউটে
কিম্বা নিমফুলের গন্ধ মেখে উদাসী ভোর
যে সুরে ডাকে
নূপুরের রিনিঝিনি, নদীর উচ্ছ্বাস
শোনা হয় না কতদিন...
কতকাল লুৎফার কান্না ফিরে গেছে
সমাধি ছুঁয়ে দিগন্ত আকাশে;
রাতপরী হয়ে শোনা হয়নি তাও।
মনে পড়ে ছোটবেলায় বেলুনওয়ালা ডাকতো
‘বেলুন চাই... বেলুন’...
সেই বাসনওয়ালা আসে না আর।
শোনা হয় না পুজোর নতুন গান
মড়মড় পোশাকের শব্দ
অযথা খিলখিল হাসি
সেই বাসনওয়ালা আসে না আর।
শোনা হয় না পুজোর নতুন গান
মড়মড় পোশাকের শব্দ
অযথা খিলখিল হাসি
কত কথা শুনে যাই অকারণে
এক কথা একই কথা
ক্লান্ত মন।
এক কথা একই কথা
ক্লান্ত মন।
ইচ্ছে করে প্রাচীন শিলালিপি থেকে উদ্ধার করে আনি
আদিম ভাষা প্রাগৈতিহাসিক শব্দ
তারপর ঘুমিয়ে যাই কোনো
আদিম ভাষা প্রাগৈতিহাসিক শব্দ
তারপর ঘুমিয়ে যাই কোনো
নির্জন গুহার অন্তরালে মমি হয়ে
শুনি ভোরের আগমনী গান।
শুনি ভোরের আগমনী গান।
কথা বাকি থেকে যায়
শব্দরা হঠাৎ জেগে ওঠে
আগ্নেয়গিরি হয়ে
ধোঁয়ায় ঢেকে যায় মেঘ
আলো জ্বলে, সাত রং...
বেড়ে যায় হৃৎস্পন্দন।
শাড়ির ভাঁজের সুগন্ধ
গোপনে আড়চোখে...
কত কথা হয়
কত বাকি রয়...
আগ্নেয়গিরি হয়ে
ধোঁয়ায় ঢেকে যায় মেঘ
আলো জ্বলে, সাত রং...
বেড়ে যায় হৃৎস্পন্দন।
শাড়ির ভাঁজের সুগন্ধ
গোপনে আড়চোখে...
কত কথা হয়
কত বাকি রয়...
শরতে বৃষ্টি
নেমেছে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন