ছায়াঘর
শ্রাবণ আকাশে একা মেঘ ও চাতক
ধূসর জমির দিন আজ শেষ হোক
মেঘের গৃহস্থদিন ভাসে পুরবায়
হাওয়ার দাপটে বীতশোক ভেসে যায়
বালকের চোখে নীল অঞ্জনছায়া
নদীটি কখনও ছিল কিশোরীর মেঘ
শোয়া বসা অফুরান তার হেঁটে যাওয়া
আকাঙ্ক্ষার ঘর আর ফুরোনো আবেগ
সবাই দাঁড়িয়ে থাকে, সারিবাঁধা নাও
বেলা অবেলার মেঘ চুপিসাড়ে ডাকে
কেউ কাছে, দূরে কেউ, ভেবেছে তারাও
ভরা শ্রাবণের জন্ম সবারই তো থাকে...
বিনিদ্র রাতের কিছু অহংকার থাকে
নিমীলিত অন্ধকারে চুপচাপ
অক্ষয় বটের দিকে হেঁটে যাওয়া
জ্যোৎস্নার প্রহরা এড়িয়ে
অক্ষরের পদাবলী অজান্তে
চূর্ণ করে ফিদাইন চলে
যাবে মহুলবাগান
টর্চ নিয়ে ভাঙা আলপথে
অন্ধ হয়ে খুঁজেছ কি চাঁদ
নারিকেল বীথির আড়ালে কোঠাবাড়ি
বিনিদ্র রাতের নেশা টানে
অন্ধকারে সহজিয়া কথামালা
ভালো থাকা হলো না তোমার
ঝিমঝিম জোছনায় একা সেঁজবাতি
নিশীথ হাওয়ায় ওড়া সুমতি বকুল
তোমার পুনর্জন্ম হোক
নীলাঞ্জনছায়া...
পত্রলেখা
ভিতর বাড়ির পথ যেন বাদামের খোলার ভিতর আঁকা। মোক্ষের মতো ভঙ্গুর। ভেঙে গেলে তালুর কনকেভ। তার থেকে ভূমি। তুমি চেনো? হৃদকমলের ধুম চিনেছ কি, এ জীবনে? তোমার চাবি তেজং। তোমার অজস্র ফুটোফাটা। গোত্রে পিরালি পিছুটান। আকালের সাইরেন এজমালি পেয়েছ। টানটান ঊষর মাঠ সেচ করছে এলোমেলো হাওয়াকল। তুমি কিছু হাওয়াকল কিনে রেখো। সঘন জীবন থেকে পরিদের ভিতর বাড়ির পথ কীভাবে? আকাশে মাঘ মন্ডলের ব্রত। ভিতর বাহিরে যত্নে খড়ির আঁকিবুকি। কান পেতে রেখো, নয়তো আওয়াজের ট্র্যাক কেটে যাবে। পরিদের ডাক ভাসানের মতো, শুধু একবার টুপ। তারপর কলাপাতায় পিছলে যাওয়া আষাঢ়স্য প্রথম দিবস। তারপর তোমার হাত আমার চুলের ভিতর পত্রলেখা...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন